বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৭ কলেজের অধিভুক্তি অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত, আলাদা করার চেষ্টা চলছে

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০২:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি করার সিদ্ধান্তটি অপরিণামদর্শী। অপরিকল্পিতভাবে অধিভুক্ত করার ফলে শুরু থেকেই কলেজগুলোতে নানা সমস্যা ও সংকট লেগে রয়েছে। সেজন্য সাত কলেজকে আলাদা করে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। আমরা তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় নিশ্চিতের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে যাচ্ছি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যতদূর পারবে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। সাত কলেজকে কীভাবে স্বতন্ত্র পরিচয় দেওয়া যায় সেটি জানার জন্য একটি কমিটি করেছিলাম। এ কমিটির কলেজগুলো নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কাজ শেষের দিকে। এবার আমরা একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে যাচ্ছি। এই কমিটি এসব কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কীভাবে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায়, তাদের সুযোগ-সুবিধা, অবকাঠামো কীভাবে বাড়ানো যায় সেসব কাঠামো তৈরি করবে। আর স্বতন্ত্র পরিচয়ের নাম (সাত কলেজকে নিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম) সবার সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হবে।


তিনি বলেন, যে নামই দেওয়া হোক না কেন আসল কথা হলো শিক্ষার মানোন্নয়ন করা। শিক্ষার বৈষম্য দূর করা। কি নাম দেবে সেটি তোমরাই (ছাত্ররা) ঠিক করবে। আমরা এখন থেকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে সেগুলোর কাজ শুরু করব।

বর্তমানে প্রচলিত একাডেমিক কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে যারা অনার্স বা এমএ-তে অধ্যায়ন করছে তাদের পড়াশোনার বিঘ্ন যেন না হয়, সে খেয়াল রাখা হচ্ছে। বরং যে অসুবিধাগুলো আছে তা এখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে অনুরোধ করব যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় যে অসুবিধা আছে সেগুলো দূর করতে আরও সচেতন হওয়া দরকার। আমরা যাই করি না কেন পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তা বৈধতা দিতে হবে। আমরা আশা করি সেই বৈধতা দেওয়া হবে।


রাস্তা অবরোধ নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমরা সম্পূর্ণ অভিভাবকহীন পেয়েছি। এখন কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বল্প সময়ে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করে রেখে যেতে চাই। যাতে ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে এটা নিদর্শন হিসেবে থাকে। তোমাদের কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে জানাবে। তবে আর রাস্তা অবরোধ নয়, বিশৃঙ্খলা নয়। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। এর মধ্য দিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে সু-সম্পর্ক ফিরে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।