শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এখতিয়ারের বাইরে অফিসের গাড়ি ব্যবহার করতে মানা ইসির

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার

এখতিয়ারের বাইরে কোনো কর্মকর্তাকে অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আসা এক নির্দেশনার আলোকে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে সংস্থাটি।

ইসির সাধারণ সেবা শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব সৈয়দ আফজাল আহাম্মেদ  এরই মধ্যে নির্দেশনাটি সব কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে,  প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরকারি কর্মচারীদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার বারিতকরণের লক্ষ্যে পত্র জারি করা হয়েছে। ওই পত্রের বর্ণিত নির্দেশনাগুলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায় কার্যালয়গুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিপালন করা আবশ্যক। তাই নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায় কার্যালয়গুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুরোধ করা হলো।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচারী প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়/ বিভাগ কর্তৃক যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দপ্তর/ অধিদপ্তর/ সংস্থা/ ব্যাংক-বীমা/ কোম্পানী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান হতে অধিযাচন করে গাড়ি আনা হচ্ছে। এছাড়াও, 'প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২০' এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন। অথচ, ওই নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এরূপ অনিয়মের বিষয়টি বারিত করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এরূপ প্রবণতার ফলে একদিকে যেমন জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে, অন্যদিকে তেমনি নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে সমাজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। সরকার এ ধরনের বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।

এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব থেকে ঊর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরকারি এবং বিভিন্ন প্রকল্প থেকে গাড়ি ব্যবহার করেন।