বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৯ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সীমান্ত চোরাচালান নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত

জাকির হোসেন সুমনঃ

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সিলেটে গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তে অবৈধ ভাবে চোরাচালান ও লাইনম্যান আবুল কাসেম,নিরব ভূমিকা গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ”এমন শিরোনামে গত কয়েক দিন থেকে কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল সহ নামে বে নামে দৈনিক কয়েকটি পত্রিকার ছাপা সংখ্যায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদের সহিত ভিন্নমত পোষণ করেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নলজুরি গ্রামের চুনাপাথর কয়লা আমদানি কারক ব্যাবসী মোঃ আবুল কাসেম তিনি জানান- আমার এলাকায় আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি কখনো খারাপ পথে বা- খারাপ লাইনে যাইনি গত কিছুদিন থেকে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে যাচ্ছে যার কোন সত্যতা আজও ওরা দিতে পারবে কিনা আমি জানিনা।  

আমার বিরুদ্ধে যা নিউজ করেছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা ভূয়া।

 
তিনি ভিন্নমত পোষণ করে আরো জানান- আপনারা গিয়ে দেখুন সেখানে কোন ধরণের অবৈধ কাজে লিপ্ত আছে কিনা। সংবাদে আমার ছবি দিয়ে জাফলং সীমান্ত আওতাধীন এলাকার সীমান্তে চোরাচালান ও লাইনম্যান উল্লেখ করে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে মূলত আমি এসবের সাথে জড়িত কিনা নলজুরি আমার গ্রাম ও জাফলং এলাকায় অনুসন্ধান করে দেখুন আপনারা।

উক্ত প্রকাশিত সংবাদ ধারা আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে আমার ছবি দিয়ে নিউজ করে সম্মানহানি করার অপ্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। 

আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি ভবিষ্যতে ক্লাপনিক ও মনগড়া এমনকি উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া আমি কিংবা যে কারো বিরুদ্ধে এরকম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল কাসেম জানান আমি তামাবিল চুনাপাথর এবং পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সদস্য তামাবিল বন্দরে আমার মালিকানাধীন বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত চুনা পাথর- কয়লা আমদানি কারক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 
জাফলংয়ের তামাবিল 'মামার বাজার, মোহাম্মদপুর, গুচ্ছগ্রাম,সোনাটিলা এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় - আবুল কাসেম সম্মানের সাথে ২০ বছর ধরে তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানি ব্যবসা করে আসছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট ওসি বলেন, আমি এখানে যোগদান করেছি মাত্র ২ মাস হয়েছে।
সীমান্ত নিয়ে যে সকল অভিযোগ উঠেছে,যেসব জায়গা নিয়ে সংবাদ হয়েছে,তাৎক্ষনিক আমি সে সকল জায়গা অফিসার ফোর্স নিয়ে পরিদর্শন করি এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারি রাতের আধারে একটি চক্র অবৈধ পথে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে। 

তিনি আরোও বলেন- যদি আমাদের গোয়াইনঘাট থানার আওতায় কোন ধরনের অবৈধ কাজে কেউ লিপ্ত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।