শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানা গেছে।


দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে অনেক দিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। তার চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বিমানে যাত্রা করার মতো পরিস্থিতি হলেই তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেটি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ওপর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে একটি চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেখানে তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার জন্যও তালিকা দেওয়া হয়েছে।

তবে, কবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা জন্য লন্ডনে নেওয়া হবে তা এখনো জানা যায়নি।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। সবশেষ গত মাসে ছয়দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় তখনকার সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এমন শর্তে সাজা স্থগিত করে শেখ হাসিনা সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। শরীর বেশি খারাপ হলে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। এখন তিনি মুক্ত। বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই।