বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিরপুরে ফের সাকিব ভক্তদের আন্দোলন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

সাকিব আল হাসানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সম্মানের সাথে অবসর গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি নিয়ে আবারো আন্দোলনে নেমেছেন তার ভক্তরা। আজ রোববার দুপুর দুটো নাগাদ মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে তারা লং মার্চ নিয়ে আসেন।

সাকিবকে দেশের মাটিতে অবসরের সুযোগ করে দিতে এক দফা দাবি জানান ভক্তরা। না মানলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। 

তবে তাদের এই লংমার্চ বাধা পায় আগে থেকেই অবস্থান নেয়া সেনাবাহিনীর সামনে। এরপর সেখানে সাকিব ভক্তদের সঙ্গে সাকিববিরোধীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

আন্দোলনকারীরের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তারা। খেলা সংক্রান্ত এই দাবির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত না করার আহ্বান জানান সাকিব ভক্তরা। এসময় বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদকে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র। 


তিনি বলেন, ‘যেহেতু তারা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদকে যথেষ্ট সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তিনি যখন অনুতপ্ত হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন, তারপরও তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি, ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা কোনো ব্যর্থ বোর্ড সভাপতি চাই না।’ 

উল্লেখ্য, দিনদুয়েক আগেই নিজের শেষ টেস্ট খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বিমান ধরেন সাকিব আল হাসান। শর্ত ছিল, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট খেলবেন তিনি। এখান থেকেই যাবেন অবসরে। তবে দুবাই পর্যন্ত আসার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয় সাকিবকে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি পরামর্শে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। 

গতকাল এই সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের যে বিষয়টা আমি সেটা একটা বিবৃতির মাধ্যমে আমার পেইজ থেকে স্পষ্ট করেছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ না ঘটে এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিসিবিকে এই পরামর্শ দিয়েছি। আপাতত দেশে না আসার পরামর্শ আমি বিসিবিকে দিয়েছি এবং বিসিবি সেই অনুযায়ী কথা বলেছে।’ 

আসিফ মাহমুদ জানান,  ‘নিরাপত্তা কিন্তু এটা না যে নিরাপদে দেশে এনে খেলানো, নিরাপত্তা এটাও যে দেশে আসলে যদি নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে সেটাকেও আগে থেকে অকার্যকর করা। উভয় দিক থেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’