ডিমের মধ্যস্বত্বভোগী থাকছে না
তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট
প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
ডিম বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচটি স্তর রয়েছে। এগুলো হলো উৎপাদনকারী, পাইকার বাজার ও উৎপাদনকারীর মাঝামাঝি পক্ষ, পাইকারি বিক্রেতা, পাইকারি বাজার থেকে মার্কেট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার একটি পক্ষ আর সর্বশেষ স্তর খুচরা বিক্রেতারা।
প্রতিবার এ হাত বদল এবং এসব মধ্যস্বত্বভোগীর কারসাজির কারণে ডিমের দাম বাড়ে। ডিমের দাম কমাতে এ মধ্যস্বত্বভোগী বা ডিম বাজারজাতকরণে স্তর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখন থেকে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি প্রধান মার্কেটে ডিম পৌঁছে দেবে। বড় মার্কেটগুলো থেকে ডিম সরাসরি চলে যাবে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে। এ জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিলার সংখ্যা বাড়াবে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা কমবে। আর বাজারে কমে আসবে ডিমের দাম। বর্তমান কাপ্তান বাজারসহ তিনটি বড় মার্কেট ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়। উৎপাদনকারীরা রাজি হয়েছে তারা এই তিন মার্কেটের বাইরে রাজধানীর বড় বড় মোকামে ডিমের ডিলার নিয়োগ দিয়ে ডিম সরবরাহ করবে।
মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি বৈঠকে ডিমের দামও নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান ভোক্তার ডিজি।
তিনি বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে একদিকে ডিম বাজারজাতকরণে মধ্যস্বত্বভোগী কমবে। প্রথমে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ডিমের নতুন দাম কার্যকর করা হবে। তারপরও ডিমের দাম না কমলে অ্যাকশন।
এক প্রশ্নের জবাবে ভোক্তার ডিজি আলীম আখতার খান বলেন, বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে করপোরেট ব্যবসায়ী ও খামারিরা সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যে সরাসরি পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ডিম সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও যৌক্তিক দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন। তাই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাবেন।
পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়েও যেন মধ্যস্বত্বভোগী না থাকে, সেই দিকও দেখা হবে বলে জানান ভোক্তা ডিজি। তিনি বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এ সময়ে কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে দেখবেন যে এই পদ্ধতি আগামী দিনেও চলমান রাখা যাবে কি না।