উত্তরা ডিয়াবাড়ি বিআরটিএতে গ্রাহক সেবায় আরো আন্তরিক হতে হবে
কবির হোসেন (শান্ত) স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
উত্তরা ডিয়াবাড়ি বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল ৩ এর কার্যালয়ে প্রান্তিকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত গণশুনানিতে বিআরটিএ’র সেবা প্রার্থীরা নানা বিষয়ে অভিযোগ এবং পরামর্শ গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা এবং সঠিক সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া এসব বিষয় নিয়ে গ্রাহকদের মুখোমুখি হন বিআরটিএর চেয়ারম্যান।
উক্ত গণশুনানিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ চেয়ারম্যান(অতিরিক্ত সচিব) গৌতম চন্দ্র পাল গ্রাহকদের অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনেন। পরবর্তীতে তিনি সেবা প্রার্থীদেরকে তাদের অভিযোগ সমাধানের আশ্বাস দেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিআরটিএ'তে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সকল অভিযোগের দ্রুত সমাধান করা হবে। উপস্থিত সেবা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন এখানে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে বিষয়গুলো তিনি শুনেছেন। তিনি আরো বলেন,যে সব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আমরা হেড অফিস থেকে একটা তদন্ত কমিটি করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
লাইসেন্স পেতে এতো সময় লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লাইসেন্স নিয়ে অনেকেই সমস্যা পড়েছেন আমরা জানি, আপনার একটু ধৈর্য ধরেন স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। যাদেরকে লাইসেন্স প্রিন্ট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা যদি বিষয় গুলো সমাধান না করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো মালিকানা বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ নিয়ে ভোগান্তির শিকার গাড়ি ব্যবসা মোঃ আশিকুর রহমান তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনলাইনে মালিকানা বদলির জন্য আবেদন করতে গেলে নানান জটিলতা দেখা দেয়,
আমি একজন গ্রাহক, আমার নাম রবিউল ইসলাম bsp সার্ভিস পোল্টার মধ্য দিয়ে, বিআরটিএ এর কার্যক্রমের সহযোগিতা পাওয়া যায়। bsp user ID দুইটা হেল্প নাম্বার দেওয়া আছে। এই নাম্বার কল দিয়ে কোন সহযোগিতা এবং কোন তথ্য পাওয়া যায় না জরুরি প্রয়োজনে ফোন দিলে কোন তথ্য পাওয়া যায় না যতবার ফোন দিবেন ততবার ফোন রিসিভ হবে এবং টাকা কেটে নেবে। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যে হেল্প নাম্বার আছে। আপনি ফোন দিলে জরুরী সেবাও তথ্য পাবেন। বিআরটিএ এর দুটি হেল্প নাম্বারের পাওয়া যায় না।নাম্বারগুলো অকার্যকর। বর্তমান যে ডেভিল লাইসেন্স কার্ডটা দেওয়া হয়। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডটা খুব নিম্নমানের। Posts অফিস ফি ৬০ টাকা দেওয়া হয়। বেবি লাইসেন্স কাট্টি কোন গ্রাহক তার নিকটস্থানে এবং বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় না। হয়তো তারা পোস্ট অফিস থেকে একবার বা ফোন দেয় দ্বিতীয়বার কোন ফোন দেওয়া হয় না।
একজন ক্রেতা একটি গাড়ি কিনে সে কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবে এ বিষয় নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও অনেক গ্রাহক সেটা সঠিক নিয়মে করতে পারে না বিধায় যে কোন কম্পিউটারের দোকানের সহযোগিতা নিতে হয় সে ক্ষেত্রে একটি আর্থিক লেনদেনের বিষয় থাকে, মালিকানা বদলির ক্ষেত্রে বর্তমানে যেই প্রক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা বিক্রেতা এবং গাড়ি হাজির করা হলে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ফাইল বি একটি অফিসে রিসিভ করে একনলেজমেন্ট সিলিপ দেওয়া হয় এইটা কে আমরা কোন ভোগান্তি মনে করি না এটা আমাদের জন্য খুবই সহজ কিন্তু অনলাইন প্রক্রিয়াটা আমাদের জন্য সহজ হবে না এমন বক্তব্যের উত্তরে বিআরটিআর চেয়ারম্যান বলেন অফলাইন অনলাইন দুটোই সিস্টেম চালু আছে এবং থাকবে । মেট্রো সার্কেল -৩ এর উত্তরা ডিয়াবাড়ী কার্যালয়ে এ গণশুনানিটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত গণশুনানিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সওজ সংস্থাপন ও টিএ অধিশাখার যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ কামরুল হাসান, উপ-পরিচালক এন্ড ফোর্সমেন্ট, মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত ও ঢাকা মেট্রো - ৩ সার্কেলের উপ-পরিচালক কাজী মোঃ মোরছালীন। লাইসেন্স শাখার এডি লিটন বিশ্বাস, এবং ইন্সপেক্টর মোঃ নাজমুল হাসান ইন্সপেক্টর, মোসাম্মৎ নাহার ম্যাডাম ও উপস্থিত ছিলেন, ফিটনেস শাখার, এডি মোঃ বশির আহমদ ও ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান এবং মোঃ লাভলু শিকদার ও আবু বক্কর সিদ্দিক এবং সুনীল বাবু, মালিকানা বদলি শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম খলিল রেজা সহ,মেডিকেল এর মোঃ রিয়াজ রহমান, ও কম্পিউটার দোকানদার আবু তালেব খাজা ও মোঃ বাদল ভাই ও সাদ্দাম হোসেন, মোঃ বাবু ভাই মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সাইদুর রহমান জীবন এবং বিজয় চৌধুরী প্রমুখ।