শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজীপুরে বিএনপি নেতার সাথে মোবাইল সার্ভিসিংয়ে প্রতারণা

নজরুল ইসলাম,গাজীপুর

প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার

গাজীপুরে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে প্রতারণার শিকার হয়েছেন আল আমিন খন্দকার নামে এক যুবক। অভিযোগ উঠেছে, মোবাইল সার্ভিসিং করতে গিয়ে তাকে নষ্ট ডিসপ্লে লাগিয়ে দেয়া হয়। প্রতিবাদ করলে তিনি রোশানলের শিকার হন।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের রাজশাহী মার্কেট নামক স্থানীয় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে। 

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তার মোবাইলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের জন্য ঐ দোকানে দেন। তবে সার্ভিসিং শেষে দেখতে পান যে নতুন ডিসপ্লে নষ্ট এবং অকার্যকর। এ নিয়ে দোকানদারের কাছে প্রতিবাদ করলে আমাকে অপমান এবং হুমকির মুখে পড়তে হয়।

পরবর্তীতে মার্কেট মালিককে আমি বিষয়টি জানালে,তিনি দোকানদারের সাথে  এই বিষয় নিয়ে কথা বললে দোকানদার পুনরায় আমার মোবাইল ঠিক করে দিবে বলে কথা দেয়।

 

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আল আমিন খন্দকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালায় মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানদার শাহিন। শুধু এখানে শান্ত হননি স্থানীয়দের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে করেছেন মানববন্ধন। মোবাইল সার্ভিসিংয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ায় প্রতিবাদ করাতে এখন সাহিনের রোশানলের শিকার হয়েছি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আল আমিন খন্দকার গাজীপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এবং গাজীপুর সদর উপজেলা টাইলস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেগমপুর বাইতুল জান্নাত জামে

মসজিদ এর সহ সভাপতি। ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া দুইটি অস্ত্র,দুইটি মটরসাইকেল,তিনটি আলমারি ও অন‍্যান‍্য মালামাল নিজ উদ্যোগে উদ্ধার করে।এবং ৯ আগস্ট গাজীপুর জেলার ডিসি,পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট করনেল লুৎফর এর তিনি হস্তান্তর করেন। 

তার দাবি সমাজে রাজনৈতিক ভাবে সকলের কাছে ছোট করার জন্যই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা মানববন্ধন করেছে তারা সকলে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী।

এ বিষয়ে দোকান মালিক সাহিনের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন যে, মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিকঠাক লাগানো হয়েছে এবং কোনো সমস্যা নেই। এবং মোবাইল সার্ভিসিং এর সাথে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের কোন মিল নেই। সাধারণ মানুষ তার হয়রানি থেকে বাঁচতে তারা আন্দোলন করেছে। 

 

ভুক্তভোগী আল আমিন খন্দকার আইনি প্রতিকার চাইছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।