বুধবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফের রিমান্ডে সালমান-আনিসুল-সাদেক খান-জিয়াউল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুমন সিকদার নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চতুর্থ দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ ছাড়া, রাজধানীর আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খান ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে সকাল ৭টার দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়।

এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে সাবেক এমপি সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। নতুন করে দ্বিতীয় দফায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো। 

গত ১৫ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় পাঁচদিন করে তার আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতিস্মরণী রাস্তার ওপর গুলিতে নিহত হন মো. সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিতে মারা যান রুবেল। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।