দুর্নীতিমুক্ত স্থলবন্দরে রাজস্ব বাড়াতে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪ সোমবার
অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হলো রাজস্ব আয়ের খাত। মুক্ত বাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আন্তঃদেশীয় বা বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানির খাত থেকে অর্জিত উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হয় বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহন অনুপ্রবেশ বা বহির্গমনে ব্যবহৃত সরকারি ১১টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ৫টি সচল বন্দর থেকে।
তবে এসব বন্দরে নিয়োজিত কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারা প্রায়ই বন্দরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এতে একদিকে ব্যাহত হয় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে সরকারের কাক্সিক্ষত রাজস্ব আয়।
অবিলম্বে এসব অপ্রীতিকর পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক বন্দর কার্যক্রমে স্থিতি ও গতিশীলতা ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে দীর্ঘদিনের আবেদন ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টদের। তবে সংশ্লিষ্ট স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনো অসাধু চক্রবিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও রাজস্ব আয়কে ব্যাহত করছেন এমন প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মূলত দীর্ঘদিন ধরে ওজন কারসাজি এবং অন্যান্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকার কারণে অভিযোগ রয়েছে এমন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে পদায়ন করা হয়। সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সব গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে পদায়ন করা হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে বন্দর ব্যবস্থাপনায়, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে আরো কয়েকশ কোটি টাকা অধিক রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। যাদের বিরুদ্ধে বদলি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানাবিধ অসত্য ও অমূলক কল্প কাহিনী ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরে গত ৩ বছরে রাজস্ব আয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত রাজস্ব দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা যা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এটি সম্ভব হয়েছে কেবলই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কারণে। এমনটাই দাবি এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের।