আসামের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মুসলিম, ‘জীবন-মরণ’ সংকট দেখছেন হিমন্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই বর্তমানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই ব্যাপারটিকে ‘জীবন-মরণ’ সংকট হিসেবে বিবেচনা করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আর কিছুদিন পরেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপির দলীয় সহপর্যবেক্ষক হিসেবে বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে অবস্থান করছেন হিমন্ত। বুধবার সেখানে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আসাম এবং আসামের জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এই মুহূর্তে আমার কাছে সবচেয়ে বড় ইস্যু। আমার রাজ্যে এখন মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই মুসলিম, যেখানে ১৯৫১ সালে এই হার ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। আমার জন্য এখন এটি আর রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং জীবন-মরণ সংকট।”
এর আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মা অভিযোগ করেছিলেন, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হার বাড়ছে এবং এই অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যের আদিবাসী তরুণীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করছে। বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে আগের সেই অভিযোগ ফের তুলে ধরে তিনি বলেন, “হেমন্ত সরেন (ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী) ঝাড়খণ্ডকে মিনি-বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এই রাজ্যে প্রবেশ করেছে, আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করে তাদের জমি হস্তগত করেছে। এই প্রক্রিয়া এখনও চলছে।”
“আমরা চাই, অনুপ্রবেশকারীরা যেন আর আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করতে না পারে, সেজন্য আইন করুক ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা।”
এছাড়া ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। এই সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের কোনো উন্নয়ন হয়নি— বুধবারের ব্রিফিংয়ে এমন দাবিও তুলেছেন হিমন্ত।
“গত ৫ বছরে ঝাড়খণ্ডে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রোকৌশল কলেজ হয়নি। উন্নয়ন কার্যক্রম থেমে আছে। একদিকে তরুণ সমাজ চাকরি পাচ্ছে না, অন্যদিকে তাদের বেকার ভাতাও দেওয়া হচ্ছে না,’ বলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।