সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

সাবেক এমপিকে প্রধান এজেন্ট করেও রক্ষা হলো না জামানত

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ৩০ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার

কুমিল্লার দেবিদ্বারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্যকে (এমপি) এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী খাদিজা বিনতে রোশনের পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উপজেলায় বিরূপ সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, বর্তমান এমপি মো. আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদকে হারানোর জন্যই সাবেক এমপি উদ্যোগে হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট হয়েছেন। তবে ভোটের মাঠে শেষে পর্যন্ত জামানতই রক্ষা করতে পারেননি খাদিজা রোশন।

জানা যায়, দোয়াত কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী খাদিজা বিনতে রোশনের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট হন দেবিদ্বারের দুবারের সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। খাদিজা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের মেয়ে। ভোটের মাঠে শেষে পর্যন্ত জামানতই হারিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী খাদিজা বিনতে রোশন। তিনি পেয়ে পড়েছে মাত্র ৩০৩ ভোট। অপরদিকে বিজয়ী প্রার্থী মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫২১ ভোট পান। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাহিদা বেগম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৮০ ভোট।

বর্তমান এমপির ছোটভাইকে চেয়ারম্যান পদে ফেল করানোর জন্যই ওই কৌশল নিয়েছিলেন সাবেক এমপি
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দোয়াত কলম প্রতীকের প্রধান এজেন্ট হয়ে উপজেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও খাদিজা বিনতে রোশন এর ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি। দোয়াত কলম মার্কায় ভোট পড়েছে মাত্র ৩০৩।’

মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাকে ফেল করানোর জন্য তিনি প্রকাশ্যে কাজ করেছেন সাবেক এমপি রাজী। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’

জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একজন ভোটার হিসেবে যে কেউ তার পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হতে পারেন। তাছাড়া তিনি (রাজী মোহাম্মদ ফখরুল) তো বর্তমান এমপি নন।’