সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি, ৩০ জলদস্যু গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত চলে রুদ্ধশ্বাস এ অভিযান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি জানান, অভিযানে তিনটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। যা এ যাবৎকালে সাগরে র্যাব-৭ পরিচালিত অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল) অভিযান চালায় র্যাব। রোববার রাতে জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর তাদের দীর্ঘপথ তাড়া করে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এ অভিযানে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, জব্দকৃত তিনটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও জাল জব্দ করা হয়। যা এ যাবৎকালে সাগরে র্যাব-৭ পরিচালিত অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে দুপুরে।
গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন হাজারে জেলে। কিন্তু শীত মৌসুমে সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা। ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার শেষে কূলে ফেরার সময় হামলা করছে দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করার পাশাপাশি করা হচ্ছে নির্যাতন। ছিনিয়ে নিচ্ছে মাছ, জাল, তেল ও ট্রলারের ইঞ্জিন। সাধারণ জেলে বেশে ট্রলার নিয়ে হামলা করছে তারা।
২১ জানুয়ারি মাছ শিকার শেষে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফেরার সময় কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে হামলা করে অস্ত্রধারী দস্যুরা। মারধর করে ছিনিয়ে নেয় ২ হাজার ৬০০ ইলিশ, ৫ মণ অন্যান্য মাছ, জাল, তেল ও ইঞ্জিন।
পরে টানা তিনদিনের অভিযানে কক্সবাজারের মহেশখালী মোহনা থেকে অস্ত্র, গুলি ও লুণ্ঠিত দুশ টন মাছসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেফতার করে র্যাব।