আব্দুশ শাকুর হত্যার বিচারের দাবিতে তামাবিল সড়কে অবরোধ
মো: আব্দুল্লাহ, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন (হরিপুর) দলইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলোচিত হাফিজ মাওলানা আব্দুশ শাকুর (৫৫) হত্যার বিচারের দাবিতে পূর্বের ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ১৪ই জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা সিলেট - তামাবিল মহাসড়কসহ বৃহত্তর জৈন্তায় অবরোধ'র ডাক দিয়েছেন ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন (হরিপুর) এর তাওহিদী জনতা। এতে সমর্থন জানিয়েছেন শহীদ হাফিজ মাওলানা আব্দুস শাকুর রহ. স্মৃতি পরিষদ বৃহত্তর জৈন্তা।
গত (২৯শে ডিসেম্বর) শুক্রবার দরবস্ত বাজার থেকে শুরু করে, হরিপুর বাজার, চিকনাগুল বাজার, জৈন্তাপুর বাজার, চতুল বাজার, কানাইঘাট বাজার, গোয়াইনঘাট বাজারসহ বৃহত্তর জৈন্তার বিভিন্ন বাজারে উক্ত অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন (হরিপুর) এর তওহিদী জনতা।
লিফলেটে উল্লেখ, জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের দলইপাড়া নিবাসী বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, শাহপরান উপশহরস্থ জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া সিলেটের মুহাদ্দিস, সৌদি আরবের মক্কা মুকাররামার পার্শ্ববর্তী বিবান মসজিদের সুদীর্ঘ সাতাইশ বছরের সাবেক ইমাম হাফিজ মাওলানা আব্দুস শাকুর রাহ, বিগত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ইং শুক্রবার, পাশের বাড়ীর সন্ত্রাসী হাজির আলী, নজরুল, বদরুল গংদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে নির্মমভাবে শহীদ হন। শহীদ মাওলানা হাফিয আবদুশ শাকুরের স্ত্রী বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ৫নং ফতেহপুরের উলামায়ে কেরাম, মুরব্বিয়ান ও সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় হরিপুর বাজারে ২৬ নভেম্বর মানববন্ধন ও ২৯ নভেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রশাসনের কার্যকরি ভূমিকা পরিলক্ষিত না হওয়ায় জৈন্তাপুরের উলামায়ে কেরাম ও মুরব্বিয়ানে এযামের সমন্বয়ে জৈন্তার ঐতিহাসিক বটতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর রবিবার সিলেট শহরের মাদরাসা সমূহের সমন্বয়ে সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন থেকে খুনিদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং আগামি ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ইং রবিবার সিলেট-তামাবিল রোডসহ বৃহত্তর জৈন্তা অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
উল্লেখ থাকা আবশ্যক যে, মামলার আসামি হাজির আলী, বিলকিস বেগম ও বাবুল মিয়া গ্রেফতার হলেও এজাহারভুক্ত বাকী আসামিরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।
শহীদ হাফিজ মাওলানা আব্দুশ শাকুর রহ. স্মৃতি পরিষদ সকলের প্রতি অবগতি করে জানান, প্রিয় এলাকাবাসী /দেশবাসী! সামাজিক অবক্ষয় রোধে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। চলমান এই আন্দোলনে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।