শীত নামছে ঠাকুরগাঁওয়ে..
মো:সুমন হাসান বাপ্পি , ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

অগ্রহায়ণের শুরুতে ঠাকুরগাঁওয়ে ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে শীত। দিনে গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় কুয়াশা পড়া। আর বাড়ছে হিমেল বাতাস বওয়া।
কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত এই জেলার মহাসড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে ও হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীত এলেই দুর্ভোগে পড়তে হয় ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্ন আয়ের ও গৃহহীন মানুষদের।
শহরের মন্দির পাড়ার সুজন দৈনিক তরুণ কন্ঠকে বলেন, ‘সারা দিন রোদ আর গরম থাকে কিন্তু মাগরিবের পর থেকে ঠান্ডা লাগা শুরু হয়। রাতে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। সকাল ৮টার দিকে আবার রোদের তাপ বেড়ে যায়।’
শহরের জেলা স্কুল বড়মাঠে হাঁটতে আসা হাবীব নামে একজন জানান, এবারে একটু আগেই শীতের আগমন হলো। সকালে আমরা যারা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করি, কুয়াশার কারণে আমাদের কাপড় ভিজে যায়। সেই সঙ্গে হালকা ঠাণ্ডা বাতাসও গায়ে কাঁপুনি দিচ্ছে।
উপজেলার নেকমরদের হানিফ পরিবহনের বাসচালক এর সাথে দৈনিক তরুণ কন্ঠের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৫ দিন আগে থেকেই সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস চালাচ্ছেন। এত কুয়াশায় বাস চালাতে ভয় হয়। এ কারণে ধীরগতিতে চালান।
ধর্মগড় ভোমরা বাজারের চায়ের দোকানদার তরিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক তোর কন্ঠকে বলেন , দুদিন থেকে মোটরসাইকেলে ভোরবেলা দোকানে আসার সময় শীত শীত লাগছে। এর ফলে হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে দোকানে আসছেন তিনি।
আয়েশা নামের এক বৃদ্ধা থাকেন শহরের রেলস্টেশন রোডে। আশপাশের এলাকায় ভিক্ষা করেন। তিনি দৈনিক তরুন কন্ঠকে বলেন, ‘শীতের দিন আমাদের বড় কষ্ট হয়। সারা রাত একটা কম্বল দিয়ে পার করতে হয়। আমি বুড়ি মানুষ, ছেলেমেয়ে কেউ নাই। কার কাছে থাকব? জেলার ধনী মানুষরা যদি কম্বল দেয় তাহলে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পারব।’
তবে শীতের আগমন ঘটলেও লেপ তোসকের দোকানগুলোতে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক গরম কাপড় ব্যবসায়ী বলছেন শীতের লেপ-তোসক বানানেরা কাগজ শুরু হতে আরও ১০-১৫ দিন লাগবে।
সবজি চাষি মুনজুর আলম বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে। উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা আমাদের ঠাকুরগাঁও। সেই কারনেই এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। গতবারের শীতে আমরা সকলের পাশে থেকেছি। এই শীতেও অসহায়, দরিদ্র মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিবো।