মনের মত করে সাজান ছোট্ট ব্যালকনি
প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ৫ মে ২০১৯ রোববার

বাইরের ধোঁয়া ধুলো কাটিয়ে হাক্লান্ত হয়ে ঘরে পেরা৷ দিনের শেষ মন চায় একটু আরাম করতে৷ আর সেই আরাম যদি হয় আপমার চারতলার ফ্ল্যাটের বাগানে? অবাক হলেন তো? এখন আপনার ছোট্ট ব্যালকনিতেই গড়ে তুলতে পারবেন নিজের পছন্দ মত বাগান৷ সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারেন ছোট্ট সেই প্রাঙ্গণকে৷
খুব সহজেই নার্সারি থেকে চারা কিনে শখের বারান্দা সাজিয়ে তুলতে পারেন৷ রইল কিছু টিপস৷ শখের বারান্দা সাজানো যায় কিভাবে?
১. নানা রকমের গাছ
আপনার চারপাশে এখন বেশ কয়েকটা নার্সারি তৈরি হয়েছে৷ খুঁজলেই দেখবে সেখানে মিলছে ব্যালকনিতে সাজানোর জন্য সব ধরনের গাছের চারা৷ সাথে তারা বিভিন্ন সাইজের ছোটবড় টবও বিক্রি করে।
রাখতে পারেন নানা রকমের মরশুমি ফুলের গাছ৷ বেলি ফুল ,জবা, হাসনুহানা, গোলাপ, রঙ্গন, অ্যাডেনিয়াম (মরু গোলাপ), কাঁটামুকুট, অপরাজিতা, কি নেই…শুধু দরকার আপনার উদ্যোগের৷
২. জলজ বাগান
শখের বারান্দা সাজাতে পারেন জলজ বাগান দিয়ে৷ ভাবছেন সেটা কী? বড় সাইজের কোন গামলায় জল় নিয়ে তাতে টব বসান৷ টবের ভিতর শাপলা, পদ্ম, স্বর্ণকুমুদ, মেক্সিকান সোরড লিলি, জলগোলাপের মত জলজ গাছগুলো লাগাতে পারলে যেন বারান্দার ছবিই বদলে যাবে৷
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, এই ধরণের জলজ বাগান তৈরি করলে হলে অবশ্যই গামলায় ছেড়ে দেবেন গাপ্পি মাছ বা মলি মাছ৷ কারণ তাতে মশার বংশবৃদ্ধি হবে না৷
৩. বারান্দায় ছোট্ট ফোয়ারা
জলজ বাগানের সঙ্গেই থাকতে পারে ছোট্ট ফাউন্টেন বা ফোয়ারা৷ বাজারে রঙিন মাছের দোকানে পেতে পারেন এরকম ফোয়ারার সন্ধান৷
সেই মোটরটিকে বড় গামলার ভিতরে রেখে সাথে একটা লম্বা টিউব লাগিয়ে টিউবের অপর প্রান্ত মাটির হাঁড়ি, প্লাস্টিকের পুরনো বোতল অথবা বাঁশ ফুটো করে আটকিয়ে বিভিন্নভাবে ডিজাইন করে খুব সহজেই বানানো যায় ছোট্ট জলপ্রপাত৷
৪. ক্যাকটাস গাছ
গাছপালা তো লাগালেন, তারপর? সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় সেগুলোর পরিচর্যার সময় কোথায়? তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট ক্যাকটাস৷ এই গাছগুলিতে খুব একটা জল লাগে না৷
মাটি যখন একেবারেই শুকিয়ে যাবে তখন জল স্প্রে করলেই চলে৷ তবে দেখতে হবে বেশি জল যেন গোড়ায় না জমে থাকে৷ সারাদিন যদি ৫-৬ ঘণ্টা রোদ পেলেই নিশ্চিন্তে বাড়বে এই গাছ৷
৫. বারান্দা সেজে উঠুক পাতাবাহারে
বারান্দা রয়েছে, কিন্তু রোদ আসে না? তাহলে পাতাবাহার সেই বারান্দার জন্য আদর্শ৷ বেশ কয়েক প্রজাতির পাতাবাহার পাবেন নার্সারিতে৷ লাগাতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট, কয়েনপ্ল্যান্ট, লাকিব্যাম্বু, পামগাছ, ইঞ্চিপ্ল্যান্ট, স্পাইডারপ্ল্যান্ট- এর মত কয়েক ধরনের গাছ। কয়েনপ্ল্যান্ট আর স্পাইডারপ্ল্যান্ট যদি সম্ভব হয় তবে সপ্তাহে ১-২ দিন রোদের একটু ব্যবস্থা করে দিতে পারলে ভালো।