৮ জুন বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস : সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্রেন টিউমা
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ৮ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আজ ৮ জুন ( বৃহস্পতিবার ), বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস আমাদের ২০২৩। ব্রেইন টিউমারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৮ সালে গঠিত জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন নামের দাতব্য সংস্থার উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।তাই ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, মোট দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রতি বছর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন।আর ব্রিটেনের এক জরিপে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ছয়জন প্রতি বছর ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। টেনটোরিয়াম নামক একটি পর্দা দিয়ে আমাদের ব্রেইনকে দুইটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা যায়। একটি উপরের প্রকোষ্ঠ ও আরেকটি নিচের প্রকোষ্ঠ।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের উপরের প্রকোষ্ঠে শতকরা ৮০-৮৫ ভাগ টিউমার হয়ে থাকে এবং নিচের প্রকোষ্ঠে শতকরা ১৫-২০ ভাগ টিউমার হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে উপরের প্রকোষ্ঠে শতকরা ৪০ ভাগ এবং নিচের প্রকোষ্ঠে শতকরা ৬০ ভাগ টিউমার হয়ে থাকে।ব্রেন টিউমার নিয়ে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। ব্রেন বা মস্তিষ্কের টিউমার বা ক্যান্সারের উৎপত্তি প্রধানত দুটি উৎস থেকে একটি হলো অন্য কলা বা কোষ থেকে উৎপন্ন ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যা মস্তিষ্কে রক্ত সংবহন, লসিকাগ্রন্থি যেমন সিএসএফের সাহায্যে মেটাসটেসিস বা দ্বৈতীয় হিসেবে আসে। দ্বিতীয়টি মস্তিষ্ক বা ব্রেনের প্রাইমারি বা মস্তিষ্কের কোষ কলা থেকে প্রত্যক্ষভাবে তৈরি প্রাথমিক টিউমার। বেন টিউমার দুই রকমের।একটি হলো নির্দোষ বা বিনাইন টিউমার। এটি শরীরে থাকলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। কেননা, এটি দেহের এক জায়গায় স্বাভাবিক কোষের মতো বিভাজিত হয়। চারদিকে ছড়ায় না এবং এদের বৃদ্ধিও ধীরে। দ্বিতীয় রকমের টিউমারটি হলো দোষী বা ম্যালিগন্যান্ট, যাকে ক্যান্সার বলা হয়। এটি স্বাভাবিক কোষের চেয়ে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দেহের সর্বত্র কাল সাপের থাবার ন্যায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
টিউমার যখন মাথার ভিতরে অবস্থান করে তখন তাকে ব্রেন টিউমার বলা হয়। যখন মাথায় এই টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের ভিতরে চাপ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে। সঠিক সময়ে ব্রেন টিউমার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে আগে জানা উচিত ব্রেন টিউমার কি, এটি কেন হয় এবং এর লক্ষণগুলি কি কি।
> ব্রেইন টিউমার কি?
মস্তিস্কের টিউমারে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কম নয়। জানা যায়, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মস্তিস্কের টিউমারে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে ব্রেইন টিউমারের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ বিষয়ে সচেতনমূলক কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না, মস্তিস্কের কোষের টিউমার হলো ব্রেইন টিউমার। মস্তিস্কের কোনো বিশেষ অঞ্চলের কোষ যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, তখন তাকে ব্রেইন টিউমার বলে। ব্রেইন টিউমার দুই রকমের। একটি হলো নির্দোষ বা বিনাইন টিউমার। এটি শরীরে থাকলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। কেননা, এটি দেহের এক জায়গায় স্বাভাবিক কোষের মতো বিভাজিত হয়। চারদিকে ছড়ায় না এবং এদের বৃদ্ধিও ধীরে। দ্বিতীয় রকমের টিউমারটি হলো দোষী বা ম্যালিগন্যান্ট, যাকে ক্যান্সার বলা হয়।এটি স্বাভাবিক কোষের চেয়ে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দেহের সর্বত্র কাল সাপের থাবার ন্যায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের কোষ থেকে প্রাথমিক মস্তিস্কের ক্যান্সার উৎপন্ন হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের কোষ থেকে মেটাস্ট্যাটিক মস্তিষ্কের ক্যান্সারের উৎপত্তি হয়।যেকোন বয়সের যেকোন ব্যক্তি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হতে পারে। পয়তাল্লিশের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেশি এবং শিশুদের মধ্যে ছয় থেকে নয় বছর বয়সীদের মধ্যে এই মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক।
>কারণ:-
মস্তিষ্কের টিউমার যেকোনো বয়সে হতে পারে। শিশুদের যত ক্যান্সার হয় তার দ্বিতীয় কারণ এটি। কিন্তু এর কারণ জানা যায় না। তবে কিছু জিনের মিউটেশনে এটি হতে পারে। এ ছাড়া রেডিয়েশনেও হতে পারে টিউমার।
> যে কারণে ব্রেন টিউমার হয়ঃ-
টিউমার বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। ব্রেন টিউমার তখনি হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ-তে কোন ত্রুটি থাকে। শরীরের কোষগুলি ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায়। যার পরিবর্তে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে যায় তবে দেখা যায় পুরনো কোষগুলি সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলি জমাট বেঁধে টিউমারের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা, মা বা আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে।
> ব্রেইন টিউমারের উপসর্গঃ-
_ নতুন করে মাথাব্যথা হলে সতর্ক থাকুন।
_ কোনও কোনও সময় দেখা যায় মাথাব্যথা চলতেই থাকছে, বারবার হচ্ছে কিংবা থেমে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে।
_ সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একথাও ঠিক মাথা থাকলেই মাথা যন্ত্রণা হয়।
_ কিন্তু মাথা যন্ত্রণার চরিত্র যদি হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয় এবং তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে সতর্কতার প্রয়োজন আছে।
_ এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
_ শরীরে কোন একটি দিক কি অবস অনুভূত হচ্ছে ? তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।
_ কোনও কোনও সময় ব্রেইন টিউমার এর উপসর্গ মাথাব্যথা নাও হতে পারে ।
_ হঠাৎ দেখা গেল শরীরে কোন একটা দিকে অনুভূতি কম হচ্ছে বা আস্তে আস্তে কোন একটি দিক অবশ হচ্ছে।
_তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে ।
_ হঠাৎ করে চোখে দেখতে কি অসুবিধা হচ্ছে ? চোখের কোন একটা দিক ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? বিশেষত আমরা যখন চোখ দিয়ে দেখি আমরা চোখের চারিপাশের সমানভাবে দেখি ।
_ চোখের দুই দিকে কি আঁধার নেমে আসছে ? তাহলে অবশ্যই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখান, তাঁর পরে হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
_ একজন সুস্থ মানুষের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ? কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে ? সে ক্ষেত্রে অবশ্যই টিউমারের সম্ভাবনা থেকে যায়। দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
_ হঠাৎ করে কিছু কথা ভুলে যাওয়া অর্থাৎ সামান্য কয়েক দিন আগের কথা ভুলে যাওয়া - এই ধরনের উপসর্গ মস্তিষ্কে টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
_ হঠাৎ শরীরে খিচুনি ধরা বা কোন একটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে খিঁচুনি ধরা ব্রেন টিউমরের অন্যতম লক্ষণ ।
_ কোন ক্ষেত্রে কী লক্ষণ দেখা দেবে এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে মস্তিষ্কের কোন জায়গায় টিউমরটি তৈরি হয়েছে তার উপর।
_ অনেক সময় ব্রেইন টিউমারের কারণে হাঁটাহাঁটিতে ভারসাম্যের অভাবে লক্ষ্য করা যায়
> ব্রেন টিউমারের লক্ষণঃ-
_ দীর্ঘ মেয়াদে মাথাব্যথা
_ খিঁচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
_ বমির ভাব বা বমি হওয়া
_ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া
_ কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা
_আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি
> রোগ নির্ণয়ে নিচের পরীক্ষাগুলো সহায়কঃ
_ ব্রেনের সিটিস্ক্যান ও এমআরআই
_ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেকট্রো এনকেফালোগ্রাফি বা ইইজি।
_ স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহন ক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি।
_ সিটি গাইডেড এফএনএসি।
> হোমিও প্রতিকারঃ-
বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং অধিকাংশ টিউমারের চিকিৎসা বাংলাদেশে করা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট-এ ব্রেইন টিউমারের ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগ ও পারিবারিক ইতিহাস এবং বর্তমান সমস্যা জেনে হোমিও ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হলে ব্রেইন টিউমার আল্লাহর রহমতে আরোগ্য সম্ভব।
> ব্রেন টিউমারের হাত থেকে নিরাপদ থাকা উপায় :-
প্রথমেই বলা হয়েছে যে, ব্রেন টিউমার দেখা দেওয়ার সঠিক কারণ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে কিছু সাধারণ নিয়ম ও স্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা ব্রেন টিউমারকে দূরে রাখতে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করে বিশেষজ্ঞরা। যার মাঝে রয়েছে-
_ ক্যানসার প্রতিরোধী খাবার গ্রহণ
প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান থেকে ক্যানসার বিরোধী উপাদান পাওয়া যায়। আপেল, আঙ্গুর, ব্রকলি, গাজরের মতো উপকারী এই সকল খাদ্য উপাদানগুলোকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
_পর্যাপ্ত ঘুম
চোখ ও মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
_মোবাইলের সীমিত ব্যবহার
মোবাইল ফোন থেকে নিঃসৃত রশ্মি ব্রেন টিউমার দেখা দেওয়ার সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই মোবাইল ফোন যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে।
_ধূমপান বর্জন করা
সন্দেহাতীতভাবে এই বিষয়ে একমত পোষণ করতেই হবে। ধূমপান ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এছাড়া ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে এই বদ অভ্যাসটি।
এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করা, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি মূলক কাজ করা (ধাঁধা কিংবা গণিত সমাধান), মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে, উপোরক্ত লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিজ্ঞানের আধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের ফলে উন্নত পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই মস্তিষ্কের টিউমার নির্ণয় করা যায়। সম্পূর্ণ ও সঠিক চিকিৎসায় অনেক রোগীই সুস্থ হয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন
পরিশেষে বলতে চাই, ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা দুরূহ। তাই দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চিকিৎসার জন্য ফান্ড গড়ে তোলা, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা, আক্রান্তদের মানসিকভাবে শক্তি জোগানো, সুস্থদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।সাধারণ মানুষ তাদের অসচেতনতার কারণে এসব ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যার চিকিৎসাব্যয় বহন করা গরিব রোগীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এসব রোগের চিকিৎসা অনেক সময় দেশে সম্ভব হয় না। আর কিছু রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব হলেও খরচ লাখ লাখ টাকা, যা বহন করা গরিব মানুষের পক্ষে তো সম্ভব নয়ই, ক্ষেত্রবিশেষে মধ্যবিত্তও বহন করতে গিয়ে গরিব হয়ে যাচ্ছে। জীবনের সঞ্চিত সঞ্চয় দিয়েও রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সরকারি হাসপাতালে বড় বড় রোগের অপারেশনের সিরিয়াল পেতে গেলে যে সময় লাগে, ততক্ষণ অনেক রোগী মারা যায়। আর বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য গরিব মানুষের থাকে না। ফলে তাদের বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।কিছু রোগের জন্য রোগী দায়ী থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের অবহেলাও এর জন্য দায়ী; যেমন, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের কারণে সৃষ্ট রোগের জন্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করাই যায়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই হয় ভেজাল খাদ্য বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে।বাংলাদেশ যদিও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অনেক উন্নতি করেছে, কিন্তু বড় রোগের চিকিৎসায় কোটি কোটি রোগীকে টেকসই সেবা দিতে পারছে না। তাহলে গরিব মানুষের ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায়িত্ব কে নেবে? অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী, সবার জন্য বড় রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোটি কোটি অসুস্থ নাগরিক নিয়ে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়। তাই রোগের সব উৎস যে কোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে।তাই ব্রেইন টিউমার রোগী ও তাদের পরিবারকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়।