লাকসামে অতিদরিদ্রদের উন্নয়নে মুগ্ধ ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়ার কান্ট্রি
লাকসাম কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার

অতিদরিদ্রদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মুগ্ধ হয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সারোমি লি বলেছেন, অতিদরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীতে পরিনত করতে ওয়ার্ল্ড ভিশন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে। এরই ফলশ্রুতিতে কুমিল্লার লাকসামে ২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে গবাদিপশু, সেলাই মেশিন, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যানিটিশন, শিক্ষা উপকরণ, সবজি চারা, বীজ, গৃহস্থলী সামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ ও সামগ্রী বিতরণ করে সাবলম্বি করে তুলেছে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে। লাকসামে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখতে এসে অতিদরিদ্রদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তিনি মুগ্ধ হয়ে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অতিদরিদ্র উন্নয়ন কর্মসূচি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ৩ এপ্রিল (সোমবার) সকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় অতিদরিদ্র উন্নয়ন কর্মসূচি গ্র্যাজুয়েশন সংবর্ধনা। এতে অংশগ্রহণ করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সারোমি লি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা মতিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আরবান এন্ড রুরাল ক্লাস্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর মঞ্জু মারিয়া পালমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আরবান এন্ড রুরাল ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম কোয়ালিটি ম্যানেজার রাকিবুল হাসান। অনুষ্ঠানে নিজেদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মো. মনির হোসেন, জাহানারা বেগম, শিবু রানী সিংহ, ফরিদা বেগম। এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার মানিক লাল সরকার, অশেষ রেমা, লাকি গোমেজ, স্পনসরশীপ এন্ড সাপোর্ট সিস্টেম অফিসার লীজা হালদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও মাহফুজা মতিন ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিভিন্ন কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে তাদেরকে বাংলাদেশের হতদরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাবলম্বি করে তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়িয়ে লাকসামে আরো কয়েক বছর কাজ করারও আহবান জানান। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সারোমি লি বলেন, এখানকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষ তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরা পরিবর্তন করতে শিখেছে। নিজেদের আয় রোজগারের মাধ্যমে অতিদরিদ্র পরিবার থেকে তারা মধ্যম আয়ের পরিবার হিসেবে উন্নতি লাভ করেছে। তাদের এই অগ্রযাত্রায় ওয়ার্ল্ড ভিশন তাদের পাশে সবসময় থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সারোমি লি। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদেরকে সাবলম্বি ও মধ্যম আয়ের পরিবারে উন্নতি করায় সারোমি লি ওই পরিবারগুলোকে সংবর্ধনার মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন, বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। ২০২১ সাল থেকে ইউপিজিএফওয়াই এর আওতায় লাকসাম উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার দুইটি ওয়ার্ডে ১৬৫ জন অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে গবাদিপশু, সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন সবজি চারা ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে সাবলম্বি করে তুলে মধ্যম আয়ের পরিবারে পরিনত করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন।