জাপা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই জি এম কাদেরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের: ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে আপিল শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে বলে জানিয়েছেন চেম্বার আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জি এম কাদেরের আইনজীবীরা এ তথ্য জানান। তারা বলেন, ‘চেম্বার আদালত বলেছেন জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত আদেশ স্থগিত হয়নি। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে।’ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে, নিম্ন আদালতের দেয়া রায় স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মো. আবদুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
একইসঙ্গে জিএম কাদের জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রেখেছিলেন বিচারিক আদালত। আদালত সূত্রে জানা যায়, জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন গত ১৪ জানুয়ারি নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে আপিল শুনানি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন দলটির বহিষ্কৃত নেতা এবং সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। পরে ৩১ অক্টোবর জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। তারপর গত ২৪ নভেম্বর এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের। ৩০ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়।