যে নিয়মে ডিম খেলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
স্বাস্থ্য
প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার
ডায়াবেটিস হলে জীবনযাত্রার মান ও খাদ্যাভ্যাস বদলে যায়। অনেকেরই ধারণা ডায়াবেটিস হলে ডিম খাওয়া যাবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উল্টোটা। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নিয়ম মেনে ডিম খেলে দারুণ উপকার করবে ডায়াবেটিস রোগীদের।
প্রোটিনের অন্যতম বড় উৎস ডিম। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা ডিম খাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় ডিম থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের মতো উপকারী জিনিস খুব কমই আছে। ওজন কমানো থেকে সংক্রমণজাতীয় রোগের আশঙ্কা দূর করা— সবেতেই ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগলে ডিম খাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ জারি করা যেতে পারে। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে ডিম খাওয়া যেতেই পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীরে শর্করা বাড়িয়ে দেয় এমন নানা জৈবরাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে লড়তে পারে ডিম। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন এবং সিদ্ধ ডিম খান, তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটাই।
তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিমের ওপর আস্থা রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, সিদ্ধ ডিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তো রাখবেই, আরও ভালো হয়, যদি বিশেষ নিয়ম মেনে সিদ্ধ ডিম খাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম খাওয়ার আগের দিন রাত থেকেই কাঁচা ডিম ডুবিয়ে রাখতে হবে ভিনিগারে। পরের দিন সকালে ভিনিগারে ভেজানো সেই ডিম সিদ্ধ করে খেলে দারুণ উপকার করবে। এ ছাড়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার দারুচিনি। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে মসলাটি। তাই ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখা ডিমকে পরের দিন সিদ্ধ করে খাওয়ার সময় ছড়িয়ে নিন দারুচিনির গুঁড়া। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।