প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে জবি শিক্ষককে বেনামী চিঠি
আহমেদ সানি
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের উন্নয়ন সমগ্র নিয়ে কলাম লেখায় কটাক্ষ করে উড়ো চিঠিতে হুমকির শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার সকালে বিভাগের চিঠির বক্সে এই চিঠি পাওয়া যায় বলে জানান মিল্টন বিশ্বাস।
চিঠিটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রেরকের নাম ড.হরিনারায়ণ গোস্বামী, প্রযত্নে ড. শিবশংকর সরকার পুরোহিত,চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ। এছাড়া তিনটি ফোন নাম্বার উল্লেখ করা হয়। তবে নাম্বার গুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
চিঠির প্রথম পাতার শুরুতে "শ্রীহরি বন্দে মাতঃরম সহায়" উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে নিয়ে কটুক্তি করা সহ অশ্লীল ভাষায় গাল-মন্দ করে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিষয়ে সমালোচনা করে করে চার পাতায় লেখা হয়েছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ নয়টি ছবির উপর কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন লেখা আছে। এছাড়া তৃতীয় পাতায় "আখেরী জামানার দজ্জাল হাচিনা এদেশের মানুষ তাকে কেন চিনলনা"," শিখ হাচিনার যৌবন ভাটা কেহই বিবাহ করলনা"এমন স্লোগানসহ বিভিন্ন সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে নিয়ে কলাম লেখার কারণে ড. মিল্টন বিশ্বাসকে 'মালাউন' ও 'বিশ্বাসঘাতক' বলা হয়েছে।
এর আগেও ২০১৪ সালে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কলাম লেখার কারণে ড. মিল্টন বিশ্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়ে আরেকটি বেনামী চিঠি আসে বলে জানান তিনি।
চিঠির বিষয়ে ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ডাকযোগে একটি চিঠিতে কুরুচিপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষে কলাম লেখার কারণে। এ ঘটনায় রাজধানীর কোতয়ালী থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানা যায়। তবে যারাই এসব কাজের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি একটি বেনামী চিঠি এসেছে। থানায় জানানো হয়েছে তদন্ত হবে।