যেভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন তৌহিদ হৃদয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

গত বিপিএলের ফাইনালের শেষ অংশে হিরো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু তা পারেননি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনালে শেষ বলে ফরচুন বরিশালের দরকার ছিল ৩ রানের। স্ট্রাইকে ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। পেসার শহিদুল ইসলামের বলে এক্সট্রা কভারে ঠেলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি তৌহিদ। ১ রানে হেরে যায় বরিশাল।
ফাইনাল শেষে অনেকক্ষণ মাঠে বসে আফসোস করেছেন। পরে যত সময় গড়িয়েছে সেই না পারাকে অতিক্রম করার চেষ্টা ছিল বগুড়ার ২২ বছরের এ যুবার। এবারের বিপিএলে তার ভিন্ন রূপ। শুরুতেই পরপর ২ ম্যাচে টানা অর্ধ শতক ও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে হঠাৎ পাদপ্রদীপের আলোয় তৌহিদ হৃদয়। কোনোরকম আড়ষ্ঠতা নেই। প্রথম বল থেকে শতভাগ পজিটিভ থেকে খেলার চেষ্টা করেছেন। দুই ম্যাচে পর পর ১৬১ প্লাস ও ১৫১ প্লাস স্ট্রাইকরেটে ফিফটি এবং চার-ছক্কায় (আজ কুমিল্লার বিপক্ষে ৩টি বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা, আগের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা) মাঠ গরম করেন।
যাকে তাকে অবলীলায় অফ ও অন সাইডে ছক্কা হাঁকান। নিজেকে কিভাবে এমন বদলে ফেললেন?
তৌহিদ হৃদয় বলেন, ‘গত বছরে যখন খারাপ খেলেছিলাম, খেলার পর থেকেই চিন্তা করছিলাম কিভাবে উন্নতি করা যায়। গত বছর ভালো খেলতে পারিনি। তারপর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছি, তখনই কাজ করেছি যে টি-টোয়েন্টি কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়। কিছু শট নিয়ে কাজ করেছি, ছোট ছোট জিনিস পরিবর্তন করা ইনশাল্লাহ ভালো যাচ্ছে।’
পর পর ২ ম্যাচে সেরা হওয়ার অনুভুতি কেমন? ‘অবশ্যই ভাল। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য এটা ভালো অনুভূতির ব্যাপার। আজকে একটা আত্মবিশ্বাস ছিল যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে ইনশাল্লাহ।’ মানছেন টি টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা কম ছিল, ‘টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা কম ছিল আগে। এখন চেষ্টা করছি কিভাবে উন্নতি করা যায় এবং মিনিমাম রিস্কগুলো কিভাবে নেওয়া যায়। সবসময় সাপোর্ট পাচ্ছি, উপরে ব্যাটিং করে নিজের দায়িত্বটা বুঝতে পারছি। সবসময় চেষ্টা করছি খেলা কীভাবে ক্লোজে নেওয়া যায় দলের জন্য।’