রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৬ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

ক্রয় কৃত জমিতে ঘর নির্মাণে চাঁদা দাবি, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি।

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

পঞ্চগড়ে ক্রয় কৃত জমিত ঘর নির্মাণে চাঁদা দাবি করে হামলা মামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পঞ্চগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ডোকরোপাড়ায় মঙ্গলবার(৩-জানুয়ারি) ২০২৩ ইং তারিখে নির্মাণাধীন বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি ১৬/০২/১৯৮৯ ইং তারিখে রুকসানা বেগমের ভোগদখলীয় জমি দলিল মুলে ৫ শতক ক্রয় করি। এবং ১৯৯৭ সালে লুৎফর ও নুরজাহান এর কাছ থেকে অর্ধ শতক জমি ক্রয় করি। তারপর থেকে ৫.৫০ শতক জমি ভোগদখল করে আসিতেছে। এরপর ১৯৯৭-৯৮ সালে এস.এ থেকে আর.এস রেকর্ড হওয়ার সময় কারো কোন আপত্তি না থাকায় আমার নিজ নামে আর.এস রেকর্ড করে জমি ভোগদখল করে আসিতেছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা, জুয়েল রানা, ছয়ফুল ইসলাম, সোহেল, নজরুল, শাম্মী আক্তার, রত্না বেগম, সুবর্ণা আক্তার, ময়না বেগম, রিক্তা বেগম, আনোয়ারা বেগম, হুসনেআরা, দেলো বেগম, হাজেরা, ফজিলা বেগম, সেলিনা বেগম, মুক্তা বেগম, সুমি সহ কতিপয় দুষ্কৃতীকারী আমার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে প্রায় সময় হামলা, মামলার ঘটনা ঘটায়। আমারা এ নিয়ে আদালতে মামলা করলে সেখানে রায় ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে পুরনো ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করার পর তাদের হামলা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বেশ কয়েকবার ৯৯৯ জরুরি সেবার নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একদিন হামলার ঘটনায় পুলিশ ৪জনকে আটক করে। গতকালকে নির্মাণ শ্রমিকদের উপর তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলাকারীরা আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে আমাদের উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করেছে। আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ। স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। আমরা এই অন্যায়ের সঠিক বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে পঞ্চগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কর্মরত শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এটা বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। সমাধানের পর তিনি কাজ করবেন। আর এখানে প্রতিপক্ষের লোকজন কখনো হামলা চালায়নি। আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছেন। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম বলেন, সত্যিকার অর্থে মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক এর পরিবারের সাথে অবিচার করা হচ্ছে। পরিবারটি খুব অসহায় হয়ে পরেছে। তাদের উপর একাধিক বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে চার জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা জামিনে বেড়িয়ে এসে অসহায় পরিবারটির উপর নির্যাতন শুরু করেছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে। ইতিমধ্যে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দোষী যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।