আগে যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তখন কোথায় ছিল দুর্নীতি: বডিবিল্ডিং
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার

জাতীয় বডিবিল্ডিং-এর পুরস্কারে লাথি মেরে আলোচনায় আসেন সাবেক বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়ন জাহিদ হাসান শুভ। প্রাপ্ত পুরস্কারে উপস্থিত বিচারকদের সামনে লাথি মেরে এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির কারণে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
জাহিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের দুর্নীতির প্রসঙ্গ বার বার টেনে আনছেন। বোর্ডকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, গত চার বছর যখন সে (জাহিদ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন দুর্নীতির প্রসঙ্গ এল না। এখন সে দ্বিতীয় হয়েছে বলে বিচারকরা দুর্নীতিবাজ হয়ে গেল। তার এ কাণ্ড দেখে আমরাও অবাক হয়েছি।
প্রতিযোগিতার বিচারব্যবস্থা নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ১১ সদস্যের বিচারক প্যানেল ছিল। এদের মধ্যে চার জন ছিলেন আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডার। বাকিরা ছিলেন জাতীয় বডিবিল্ডিংয়ের সিনিয়র বিচারক। অনেক দিন ধরে এরা বিচার কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বিচারকদের সবার মূল্যায়নে তাকে দ্বিতীয় করা হয়েছে। যাকে প্রথম করা হয়েছে তাকেও (আল আমিন সজিব) সব বিচারক মূল্যায়ন করেছেন। যাকে দ্বিতীয় (জাহিদ) করা হয়েছে তাকেও সব বিচারক মূল্যায়ন করেছেন।
প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকার করা ব্যক্তির (আল-আমিন সজিব) সঙ্গে আত্মীয়তার প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, তার সঙ্গে (সজিব) আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দয়া করে তাকে (জাহিদ) একটু প্রমাণ করতে বলেন যে তার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা আছে। কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই, কোনো সম্পর্কের সম্পৃক্ততা নেই। না তাকে আমি কোনো কোচিং দিয়েছি, না তাকে ট্রেনিং করিয়েছি। তার সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্কই আমার নেই।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাপ্ত পুরস্কারে লাথি মেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হোন জাহিদ। ওই প্রতিযোগিতায় ১১ জন বিচারক প্যানেলের ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রূপা জেতেন তিনি। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় তাকে দেয়া হয় একটা ব্লেন্ডার! এর আগে তিনি চারবার বডিবিল্ডিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।