সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

গ্রেট রিজাইনেশন: গণহারে চাকরি ছাড়বে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার

এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেদের চাকরি নিয়ে খুশি নয় এমন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ৪৪টি দেশের ৫২ হাজার কর্মী নিজেদের চাকরি ছাড়তে চাচ্ছেন। খুঁজছেন নতুন কর্মসংস্থান।
গবেষণায় দেখা যায়, আগামী বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষ তাদের বর্তমান কর্মস্থল পরিবর্তন করবে। প্রতি পাঁচজনে একজন তার কর্মস্থল নিয়ে খুশি নয় এবং নতুন কর্মস্থলের খোঁজ করছে।
‘গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্স হোপস অ্যান্ড ফিয়ার সারভে ২০২২’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, মূলত অধিক বেতনের আশায় চাকরি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন কর্মীরা। এ ছাড়াও চাকরি ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল কাজ খুঁজে না পাওয়া, নিজের মতো কাজ করতে না পারা ও কাজের মধ্যে সন্তুষ্টি খুঁজে পাওয়ার আশায় নতুন চাকরির দিকে ঝুঁকছেন কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা ও কর্মস্থলের থেকেও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মপরিবেশ ও বেতন কাঠামো।
 
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী বছর কোম্পানিগুলো ‘গ্রেট রিজাইনেশনের’ মুখোমুখি হতে পারে। এটি কর্তাব্যক্তিদের জন্য একটি শিক্ষা। কর্মীদের যাচ্ছেতাই বেতনে মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করে আসছে বহু করপোরেট কোম্পানি। এ ক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেদের পছন্দের মতো চাকরি নিলে, কাটখোট্টা কোম্পানিগুলো বড় রকমের শিক্ষা পাবে বলে গবেষণাপত্রে ধারণা করা হচ্ছে।

পিডব্লিউসি জানিয়েছে, আগামী ১২ মাসের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কর্মী তাদের কর্তাব্যক্তিদের কাছে বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করবেন–এমন প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও করোনা-পরবর্তী প্রযুক্তিগত উন্নতি ভাবাচ্ছে তরুণ কর্মীদের। প্রযুক্তি দখল করে নেবে রক্ত-মাংসের মানুষের জায়গা–এমনটাই আশঙ্কা করছেন বর্তমান সময়ের কর্মীরা।
 
এ ব্যাপারে পিডব্লিউসির চেয়ারম্যান বব মরিজ বলেন, গবেষণার ফলাফল সোজাসাপ্টা। কর্মীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। ভালো কিছুর আশায়, উপযুক্ত বেতনে ভালো কোনো কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তারা।
 
চলতি বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন কর্মী চাকরি ছেড়েছেন, যা ছিল দেশটির জন্য রেকর্ড। এদিকে মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক অস্থিরতার মধ্যেও দেশটিতে ১১ মিলিয়ন কর্মসংস্থান ফাঁকা পড়ে আছে। কর্মীর অভাবে কোম্পানিগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে, বাড়াচ্ছে কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা।