১৯ ঘণ্টায় লালমনিরহাট থেকে ঢাকায়
প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ৮ মে ২০২২ রোববার

ঈদের ছুটি কাটিয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে আটটায় লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মো. আতিক। রোববার সাড়ে ৩টায় তারা গাবতলীতে পৌঁছান। দীর্ঘ যানজটের কারণে ১৯ ঘণ্টা রাস্তায় থাকতে হয়েছে তাদের। পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরতে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন আরও অনেকেই।
রোববার (৮ মে) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
মো. আতিক জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল (শনিবার) রাত সাড়ে আটটায় বাসে উঠেছি। গাবতলী এসে নামলাম বিকেল সাড়ে তিনটায়। রাস্তায় এতো জ্যাম ছিল ১৮ থেকে ১৯ ঘণ্টা জার্নি করতে হয়েছে। ঈদের সময় প্রতি বছরই এমন জ্যাম থাকে রাস্তায়। গাবতলী থেকে এখন যাব নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত জার্নির উপরেই আছি।
উত্তরবঙ্গ থেকে আসা অধিকাংশ যাত্রীই ভোগান্তির কথা জানান। যেখানে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগার কথা সেখানে যানজটের কারণে দ্বিগুণের বেশি সময় লাগছে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
কুড়িগ্রামে নিজের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়া রহিমা আক্তার ঢাকায় ফিরে জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। ঈদ শেষে আজ ঢাকায় ফিরেছি। ভেবেছিলাম রাতে জ্যাম একটু কম থাকবে, কিন্তু পথে অনেক জ্যাম থাকায় ১৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তার সঙ্গে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, ভেবেছিলাম সকাল বেলায় এসে পৌঁছবো। কিন্তু এখন বাজে বিকেল ৪টা। জ্যামের কারণে অনেক সময় লাগছে ঢাকায় আসতে। ঈদে প্রতি বছরই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা নাজমুল বলেন, এক ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে আসতে। রাস্তায় অন্য গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল, তাই জ্যামে পড়ে গিয়েছিলাম।
এদিকে, কোনো কোনো রুটে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কিছুটা কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। পাবনা থেকে আসা মালেকা বানু জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৮টায় বাসে উঠেছি। ঢাকায় এসে পৌঁছেছি তিনটায়। তবুও ছয়-সাত ঘণ্টা লেগে গেছে। কিছুটা জ্যাম ছিল রাস্তায়। বড় জ্যাম পড়লে হয়তো সন্ধ্যা হয়ে যেতো।
পাবনা থেকে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, রাস্তায় তেমন বড় জ্যাম ছিল না। ভেবেছিলাম আরও তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে। তারপরেও ঢাকা আসতে প্রায় সাত ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।
এ কে এম জায়েদ হোসেন নামে আরেক যাত্রী জানান, আমি ভেঙে ভেঙে এসেছি। আরিচায়ও জ্যাম ছিল না তাই দ্রুত চলে আসতে পারছি।