রোগ নির্ণয়ে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছে: রোগী কল্যাণ সোসাইটি
প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ নির্ণয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা: মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা প্রকাশক ও সম্পাদক এবং জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উপদেষ্টা কবি অশোক ধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজু আহমেদ, ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবউদ্দিন আহমদ, ডা: বিনোদ শর্মা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সারা বাংলাদেশে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারন জনগন বেশিরভাগ সময় হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। অপ্রতুল যন্ত্রাংশের ফলে থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের অপ্রতুলতা, প্রশিক্ষিত নার্স ও টেকনিশিয়ানের অভাব এবং আধুনিক যন্ত্রাংশ নেই বললেই চলে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঠিক রোগ নির্ণয় বেশিরভাগ সময় ব্যাহত হয়। যার ফলে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি সারা বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করছে। আশাকরি পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতায় কাজ করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণ রোগ নির্ণয় ভোগান্তির মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা চাই সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগীর অধিকার সমুন্নত থাকুক।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে বেশকিছু জটিল ও কঠিন রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঠিক রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১) সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বৃদ্ধিতে আলাদা মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
২) আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩) জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করতে জেলা পর্যায়ে গবেষণাগার নির্মাণ করা এবং ইন্টার্নি ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানদের সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জেলা পর্যায়ে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথিসহ সকল ডাক্তারের সমন্বয় ঘটাতে অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৫) জেলা পর্যায়ে রোগীর অধিকার নিশ্চিত করতে অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য আলাদাভাবে এডিশনাল এসপির মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।