মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কচিত ইনিংসে ঢাকার প্রথম জয়
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

গত দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু তার ব্যাট হাসলেও দলের বাকি সদস্যরা হাসতে পারেননি। তবে সোমবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন জোড়া ফিফটি করা তামিম। ফিরেছেন শূন্য হাতে। আর এ ম্যাচেই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল ঢাকা।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ১৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে বরিশালকে হারিয়েছে ঢাকা। মাহমুদউল্লাহর কাছে হার মানলেন সাকিব আল হাসান।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান জমা করে বরিশাল। ১৩০ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্ত্রে রাসেল।
মাহমুদউল্লাহর অধিনায়োকচিত ইনিংস ও রাসেলের ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না ঢাকার। শুরুতেই ওপেনার তামিমকে হারান মাহমুদউল্লাহ। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
তামিমের দেখাদেখি শূন্যরানে আউট হন জহুরুল অমিও। তামিমের পর আরেক ওপেনার আফগান তারকা মোহাম্মদ শেহজাদকে ৫ রানে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। ওয়ানডাউনে নামা নাঈম শেখকে ৪ রানে ফেরান আলজারি জোসেফ।
এক পর্যায়ে ইনিংসের ১৭ বলের মধ্যে দলীয় ১০ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। দুর্দান্ত এক জুটিতে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শুভাগত হোম।
এ দুই অভিজ্ঞ তারকার জুটিতে আসে ১০.২ ওভারে ৬৯ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোর স্লোয়ারে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৯ রান করেন শুভাগত।
এরপর রাসেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রিয়াদ। শক্ত ভিত পেয়ে সাত নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল খেলেন ঝড়ো ইনিংস।
শেষ ৬ ওভারে যখন প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান, তখন আলঝারি জোসেফের বোলিংয়ে তিন চার ও এক ছয়ের মারে ১৯ রান নিয়ে নেন রাসেল ও রিয়াদ। তাইজুলের করা ১৭তম ওভারের শেষ তিন ৪, ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন রাসেল-রিয়াদ। এ সময় ১৮ বলে প্রয়োজন পড়ে ৭ রানের।
সাকিবের করা পরের ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দুই দলের স্কোর সমান করেন রিয়াদ। পরের বলেই আউট হয়ে যান ৪৭ বলে ৪৭ রান করা ঢাকার অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত তিন চার ও দুই ছয়ের মারে ৩১ রানের ইনিংস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রাসেল। ৪৭ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। দলকে টেনে তুলতে পারেননি সাকিব বা গেইলের মতো তারকা। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। যদিও নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৈকত আলির উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রান উঠে।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে লংঅফে নাইম শেখের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৫ রান করেন শান্ত। পরের ওভারে অভিষিক্ত হাসান মুরাদের শিকার হন সৈকত। ১৮ বলে ১৫ রান আসে তার উইলো থেকে। তার পরের ওভারে তৌহিদ হৃদয়কে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে শূন্যরানে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব ও ক্রিস গেইল হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
২৩ রানের বেশি করতে পারেননি সাকিব। ১২তম ওভারে রুবেল হোসেনের দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন সাকিব। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় সাকিব করেন ২৩। নুরুল হাসান সোহান করেন মাত্র ১ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে আরেকটি জুটি গড়েন গেইল। এবার স্বদেশি ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন তিনি। ১৬তম ওভারে গেইলকে থামান ইসুরু উদানা। ৩০ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ওই ওভারেই জিয়াউর রহমানকে মাত্র ১ তুলে নেন উদানা। ৯৬ রানে ৭ উইকেট হারায়বরিশাল। সেখান থেকে ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৩ রানে দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান ডোয়াইন ব্রাভো।