লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণে বেঁচে যায় জবি শিক্ষার্থী ফাতেমা
মাহির আমির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার

গত (বৃহস্পতিবার) রাত তিনটায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান ১০ এ আগুন ধরে এই লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ফাতেমার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলা শহরে।
গত (২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার শেষ দিন ছিলো। ওইদিনই ফাতেমা তার ঢাকায় অবস্থানরত এক ফুফাতো বোনের সাথে বরগুনার উদ্দেশ্যে সদরঘাট থেকে এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে করে যাত্রা শুরু করেন।
ফাতেমার পরিবারের সাথে কথা বলে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন তরুণ কন্ঠকে বলেন, লঞ্চটি যখন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পোঁছায় ঠিক তখনি আগুন ধরে যায় পুরো লঞ্চে। ফাতেমা ও তার কাজিন তখন ভয় পেয়ে বাড়িতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তারপর মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ফাতেমা সাঁতার না জেনেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনোভাবে নদীর তীরে এসে শেষ রক্ষা হয়েছে ফাতেমার। দু-জনের না মানা জীবন যুদ্ধের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ফাতেমা।
অধ্যাপক মহিউদ্দিন আরও বলেন, আগুনে ফাতেমার হাত-পায়ের অনেকাংশ পুড়ে যায়। বর্তমানে সেই ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘক্ষন নদীর পানিতে থাকায় অধিক ঠান্ডায় কারণে সেই এখন শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আগামীকাল সকালে তার বাবা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করবে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ফাতেমার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক আমি যোগাযোগ করে তার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই এখন সুস্থ রয়েছে। আমরা ব্যবস্থাপনা পরিবারের পক্ষে থেকে এ মর্মান্তিক ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর উন্নত চিকিৎসায় সুযোগ–সুবিধার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি যে কোন দরকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে ‘আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।