ধর্ম নিয়ে কটূক্তি দায়ে, জবি শিক্ষার্থী তিথির বিচার শুরু
জবি প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
গত (বৃহস্পতিবার) তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার দিন ধার্য ছিলো আদালতে। এ-সময় তার স্বামী শিপলু সরকার আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি চায়।
তবে, আদালতে তাদের আইনজীবী মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদনের শুনানি করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই মামলা থেকে তিথি সরকারের স্বামী শিপলু সরকারকে অব্যাহতি দেন ও ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডি সাইবার মনিটরিং টিমের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করা হয়। যাতে বলা হয়েছে, তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ের চার তালা থেকে। এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রকৃতপক্ষে এমনকিছু ঘটেনি দাবি করেন সিআইডি।
এই ঘটনার পরে সিআইডি গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে। পরে নিরঞ্জন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। পরে তিথি সরকার ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিথি সরকার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করে ধর্মানুভূতিতে মন্তব্য করে আসছিলেন।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সেসব পোস্ট ও কমেন্টের স্ক্রিটশর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। শিক্ষার্থীরা তিথি সরকার ছাত্র অধিকার পরিষদে যুক্ত থাকার বিষয়ে সংগঠনটির প্রতি নিন্দা জানায়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে বহিস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে গত বছরের ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং সেই সাথে তার নিজ দল থেকেও তাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে।