ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান চৌধুরী এবারও নৌকা প্রতিক নিয়ে জনপ্রিয়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:৩৩ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্য কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহাজাহান চৌধুরী আগামী ১১ নভেম্বর ২১’বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ২নং কিচক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও ২য় বারের মত আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করে ব্যাপক গনসংযোগ করে চলছেন এই মানব দরদী মানুষ।
তিনি আবারও নৌকা মার্কা নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে জনগণের দোরগোড়ায় কাংক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে জনপ্রিয়তার র্শীষে রয়েছেন বলে কিচক ইউনিয়নবাসী মনে করেছেন। তিনি নৌকা প্রতিক পেয়ে এখন পর্যন্ত জনগণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন চলছেন। তিনি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে আগামী ১১ নভেম্বর এর নির্বাচন উপলক্ষে ভোটাদের কাছে ভোট চেয়ে ব্যাপক গনসংযোহ করে চলছেন। তিনি কর্মী সমাবেশ,সুধিসমাবেশ, উঠান বৈঠক,নির্বাচনী প্রচারণাসভা, নৌকা প্রকিতকে বিজয়ী করার লক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলোচনা সভা করেছেন। পুরো ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, তিনি যেখানে সভা সমাবেশ করছেন সেখানেই নৌকা মার্কার ব্যাপক গণ-জোয়াড় সৃষ্ঠি হচ্ছে, উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্য কিচক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান চৌধুরী এবারও নৌকা প্রতিক নিয়ে জনপ্রিয়তার র্শীষে রয়েছেন বলে মনে করছেন পুরো ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন। অর্থাৎ তিনি আবারো জনপ্রিয়তার র্শীষে রয়েছেন।
বেলাই গ্রামের দেলোয়ার মাস্টার বলেন,চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরীর সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা চখে দেখার মতো। তিনি আরো বলেন, তিনি একজন ভালো মানুষ, সুখে-দুখে সব সময় জনগণের পাশে থেকেছেন। বলরামপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক হোসেন বলেন, এলাকায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাট ইট সলিংসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন শুধু তাই নয় তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলের ডাকে সারা দিয়েছেন তাই তিনি এবার নৌকা মার্কায় বিপুল ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। বিভিন্ন জায়গায়, গনসংযোগে কালে উপস্থিত জনতারা বলেছেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ২নং কিচক ইউনিয়নের যে উন্নয়ন হয়েছে তা চেয়ারম্যান শাহাজাহান চৌধুরীর সময়ে হয়েছে যা চোখে দেখার মত উন্নয়ন। এতে ইউনিয়ন বাসী ও ভাতা ভোগীরা সবাই আমরা খুশি।
“দৈনিক তরুণ কন্ঠ একান্ত সাক্ষাত কারে তিনি বলেন, উপজেলার কিচক ইউনিয়নটি ধান ও আলু ফসলের জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে এবং মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, তাদের কৃষি প্রণোদনা প্রদান, বীজ, সার, স্প্রে মেশিন ও কৃষি বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে এবং আগামীতেও কৃষকদের প্রতি আমার একান্ত সহযোগিতা থাকবে। বিগত ২০১৬ সাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ৫ বছর যাবৎ সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন। গ্রামের ছোট ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকুপ, মাটির রাস্তা সংস্কার করা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা স্কুল-কলেজ হাট-বাজারের উন্নয়ন করেছি। কিচক দি¦-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব আন্তরিক ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি করোনা কালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ এবং সচেতনা মূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দরিদ্র সব মানুষই তার কাছে সমান বলে ইউনিয়নে হাজারো মানুষ জানান। ইউনিয়নের ভিটাপাড়া গ্রামের মোঃ সাবেদ আলী বলেন, চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহাজাহান চৌধুরী একজন সাদা মনের মানুষ। যখন বিপদে ডেকেছি তখনই তাকে কাছে পেয়েছি। এছাড়াও স্থানীয় আরো অনেকে বলেন, চৌধুরী জনগণের বন্ধু। তারা বলেন তিনি সৎ আদর্শবান মানুষ এলাকায় তার বেশ সুনাম রয়েছে। তিনি জনতার চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বজনীন সমাদৃত। কয়েকজন ভ্যান চালক আবুল খয়ের ,কৃষক আলম, আফতাব,শাহালম মন্ডলসহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারমান বংশীয় চেয়ারম্যান তার মন প্রাণ সব কিছু ভাল। ৫ বছর ধরে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেছেন তাকে আমারা ভালো ভাবেই জানি সে এক জন ভালো মানের মানুষ।
ভালো কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকে মন খারাপ করেছেন। বলরামপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী জমিরন (পাগলী), ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হাকিম মন্ডলের স্ত্রী আছিয়া বিবি সহ অনেক বিধবা বলেছেন, শাহাজাহান চৌধুরী চেয়ারম্যান আমাদের ছেলের মত রাস্তা ঘাটে ডাকলে কথা বলে। সে সুদ- ঘুষ খায় না বরং মানুষকে দান করে।আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা তাকে ভোট দিয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চাই। চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, জনগণ আমাকে পুনরায় ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন তবে আমার ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব সেই সাথে আমার ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থেকে সর্বদা সেবা করবো। আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি তত দিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি এটিই আমার আশা, আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে শিক্ষা ,স্বাস্থ্য ও কৃষির উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়ে আমার ইউনিয়নকে মাদক সন্ত্রাস ও বাল্যবিবাহমুক্ত একটি আধুনিক ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশআল্লাহ।