বুধবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

নবাবগঞ্জে আসামিরা প্রতিপক্ষকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, আদালতে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক    

প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

এ ব্যাপারে নন্দনপুর (টেপরিপাড়ার) তবিল উদ্দীনের মেয়ে তহুরা বেগম বাদী হয়ে কয়েক জনকে আসামি করে ১লা নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে জেলা দিনাজপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নবাবগঞ্জ কোর্টে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের পূত্র মরফিদুল ওরফে সুমন ব্যবসার কথা বলে নন্দনপুর গ্রামের তবিল উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলামের কাছে ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়। শহিদুল ইসলাম ২ মাস পর মরফিদুল ওরফে সুমনের কাছে ধারের টাকা চাইতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণ নাশের হুমকী সহ নানা ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার শুরু করে। 

মরফিদুল ওরফে সুমনের সহযোগী মাহফুজ, মহিদুল ইসলাম (লেবু ইসলাম ভোটারু), তোজাম্মেল হক, মুনমুন বেগম, জিয়ারুল হক, ইমান আলী গংরা মিলে গত ৮ই আগষ্ট ২০২১ইং তারিখ সকাল ১০টার দিকে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের মুদি খানার দোকানের সামনে থেকে শহিদুল ইসলামকে অপহরন করে নীলকন্ঠপুর ধলাগাছ জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপহরনকারীরা অপহৃত শহিদুল ইসলামকে গাছের সাথে বেধে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম ও প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় বলে মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করে ও ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। অপহৃত শহিদুল ইসলামের আত্বীয় স্বজন ও গ্রামবাসী তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে বিপদ আঁচ করতে পেরে অপহৃরনকারীরা অত্যন্ত সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে এবং মিথ্যা নাটক সাজিয়ে শহিদুল ইসলামকে নবাবগঞ্জ থানায় সোর্পদ্য করে।

অপহৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কহিনুর বেগম অভিযোগ করেন, থানা পুলিশ অপহরনকারীদের থানায় পেয়েও অজ্ঞাত কারণে তাদের আটক না করে উল্টো শহিদুল ইসলামকে গালিগালাজ করে ও তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখায় এবং আপোষনামায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। ফলে ন্যায় বিচার প্রত্যাশিরা হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে আসে। 

এলাকাবাসী দাবি করেন, পুলিশ অপহরনকরীদের পক্ষ অবলম্বন করায় আসামীরা বাড়ীতে এসে আরও ব্যাপরোয়া হয়ে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ আগষ্ট ২০২১ইং তারিখে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কহিনুর বেগম মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার পথে বাদীনির বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার ধারে আম বাগানে একাকী পেয়ে উল্লেখিত আসামিরা কহিনুর বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ফলে কহিনুর বেগম ঐ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত (৬) নবাবগঞ্জ দিনাজপুরে ১টি মামলা দায়ের করলে আসামীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কহিনুর বেগমের শোবার ঘরে গত ২২ অক্টোবর ২০২১ গভীর রাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। 

পেট্রোলের আগুনে ঘরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেলেও কহিনুর বেগম প্রাণ নিয়ে তাদের সন্তানদের সহ ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও ঘরের সম্পূর্ণ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলামের বড় বোন তহুরা বেগম বাদী হয়ে দিনাজপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নবাবগঞ্জ কোর্টে আরও ১টি মামলা দায়ের করেন। কহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশ আসামীদের অজ্ঞাত কারণে না ধরায় তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে চিরতরে শেষ না করা পর্যন্ত থামবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকী দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।