বুধবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জামাই-শাশুড়ির মাদক সিন্ডিকেটে ভয়ংকর ‘আইস ব্যবসা’

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

মো. রবিন (২৯) ও আরাফা বেগম (৩৭) সম্পর্কে জামাই-শাশুড়ি। করোনাকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন রবিন। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তার শ্বশুর-শাশুড়িও। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বলছে, তাদের পুরো পরিবার মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে রবিন ও তার শাশুড়ি আরাফা বেগমকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৭০ গ্রাম ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস এবং ছয় হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার আইস ও ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার রবিন ও তার শ্বশুরবাড়ির সবাই মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের আলপনা প্লাজায় কাপড়ের দোকান ছিল রবিনের। করোনায় ব্যবসা বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে তিনি মাদক কারবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। রবিনের শ্বশুর নুরুল হুদা দুই মাস আগে চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে। এছাড়া রবিনের স্ত্রীও মাদকসেবী।

উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, রবিন ও আরাফা বেগমকে টেকনাফ থেকে আইস ও ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। কারা আইস ও ইয়াবা সরবরাহ করতো তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে কুরিয়ার করে তাদের কাছে আইস ও ইয়াবা এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। দুই বছর ধরে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলেও কর্মকর্তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন গ্রেফতাররা।

এদিকে, গত ১২ অক্টোবর অপর এক অভিযানে আট হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইব্রাহিম (৩১), গৌরাঙ্গ সাহা বাবু (৪৪), হদয় পোদ্দার (২৭) ও মনজুর আলম (২৮)।