জবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ২১ অক্টোবর
মাহির আমির মিলন, জবি প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

দেখতে দেখতে ১৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দরজায় কড়া নাড়ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরে ২০ অক্টোবর পালন করা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এবছর দিবসটি পালন করা হবে ছুটির জন্য ২১ অক্টোবর।
গত বছরে মহামারী করোনা পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনে স্বল্প পরিসরে উদযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি। এবছরে প্রশাসন বলছেন বড় ধরনের কোনো আয়োজন হবে না সংক্রমণ বাড়ার ভয়ে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনলাইনে আয়োজন করা হবে দিবসটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৯ অক্টোবর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) ও ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর উদযাপন করা হবে। যদিও গতবারের মতো এইবারেও থাকছে না কোনো বড় ধরনের আয়োজন অনলাইনে হবে সকল অনুষ্ঠান।
এই দিকে ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস খোলার পরেও অনেকে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান। তাছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন চাইলে অত্যন্ত এবারে স্বল্প পরিসরে ক্যাম্পাসে দিবসটি পালন করতে পারতো।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি অন্য রকম আবেগ কাজ করে। এ-ই দিনটি ঘিরে সকলে চায় বিশেষ কিছু করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু আমাদের প্রশাসন বরাবরের মতো সাদামাটা আয়োজন করে দায়বদ্ধতা শেষ করতে চাচ্ছে। তারপরে ২১ তারিখে আবার রয়েছে আমাদের পরীক্ষা। আসলে প্রশাসন খুবই বুদ্ধিমান, এজন্য ২১ তারিখ দিবস হওয়া সত্বেও পরীক্ষা রেখেছে।
১৫ তম ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা গত বছরে ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হতে শুরু করে অনেক কিছু মিস করেছি। এবারে একই অবস্থা একদিকে আমাদের ২১ তারিখ পরীক্ষা অন্যদিকে প্রশাসনের নেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ঘিরে বাড়তি আয়োজন। পরীক্ষার জন্য ঐদিন তো আমরা ব্যস্ত থাকবো বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করবো কিভাবে। পরীক্ষা পিছানো হলে আমাদের সমস্যা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ তারিখে অনেক বিভাগের রয়েছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধের জন্য ২০ অক্টোবরের দিবসটি পরের দিন পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই বিষয়ে ট্রেজারার ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের আসলে করার কিছু নেই পরীক্ষা যথাসময়ে হবে। মহামারিতে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না শিক্ষার্থীদের নিয়ে। আমরা জাতীয় সংগীত ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করবো আর সন্ধ্যায় অনলাইনে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পরীক্ষা পেছানো হলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে, বলা তো যায় না কখন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় আবার।