বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি ২৪ চ্যানেল চালাতে কোনো বাধা নেই

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি ২৪ চ্যানেল চালাতে কোনো বাধা নেই।

সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আপনারা আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। দেশের আকাশ উন্মুক্ত। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী; যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই আছে। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে। সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকা সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।

তিনি আরও বলেন, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে বৈঠক করে আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করবো। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিদেশি ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়। সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে।

মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি আশা করবো তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকুশলী, সাংবাদিকদের স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ অবস্থান নেবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।