কুমিল্লায় পারিবারিক বনায়নের গাছ চুরি করে নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরা
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউপির পাশাপুর গ্রামে রবিবার গভীর রাতে মৃত কেফায়েত উল্লাহর পারিবারিক জমিতে বনায়নের প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন জাতের ফলজ ও বনজ গাছ চুরি করে নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় একাধিক লোকজন জানায়, ঐ গ্রামের মৃত কেফায়েত উল্লাহর দখলীয় পাশাপুর মৌজা খতিয়ান নং- ১৮, দাগ নং- ৪১২, ভূমির পরিমাণ- ৫৭ শতক আন্দরে প্রায় ১০ শতক সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় ২ পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত নানাহ ঝগড়া-বিবাদ লেগেই আছে। একাধিক গ্রাম্য শালিশ, ইউপি কার্যালয়ে শালিশ সহ থানা পর্যন্ত উভয় পক্ষ হাজির হলেও ঐ সম্পত্তির মালিকানা মৃত কেফায়েত উল্লাহর পরিবারের দখলেই রয়েছে। গাছ চুরির ঘটনা ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই মৃত কেফায়েত উল্লাহর স্বজনরা স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ সহ আইনি সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপরপক্ষ মৃত ছিদ্দিক কাপ্তান স্বজনরা ঐ সম্পত্তির মধ্যে পৌনে ১০ শতক জমির ওয়ারিশ সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা দাবি করে আসছে।
ঐ সম্পত্তির বনায়নের মালিক মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে মাহফুজ উল্লাহ জানায়, আমাদের পৈতিৃক সম্পত্তির উপর আমরা বনায়ন করেছি। দীর্ঘ ৮২ বছর ধরে এ সম্পদ আমাদের দখলে আছে। শনিবার বিকালে ঐ বনায়নে প্রায় শতাধিক নানাহ জাতের ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করি। রাতে বৃষ্টি হয়, রবিবার সকালে গাছের অবস্থা দেখতে গিয়ে দেখি অনেকগুলো গাছ নেই। তাৎক্ষনিক চতুর্দিকে গাছ চুরির খোজ খবর নিয়ে কোন হদিশ না পেয়ে অবশেষে সন্দেহ হয় এটা আমাদের প্রতিপক্ষের কাজ ছাড়া আর কারো নয়। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সহ মৃত কেফায়েত উল্লাহর স্বজনরা তাদের প্রতিপক্ষ মৃত ছিদ্দিক কাপ্তান পরিবারের দিকে গাছ চুরির অভিযোগ তুলে ধরেন। তবে ঐ সম্পত্তির পাশের বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক কাপ্তানের মেয়ে প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান নুরি জানায়, আমাদের পৌনে ১০ শতক জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলে রেখেছে। এ নিয়ে বহু শালিশ দরবারও হয়েছে। কিন্তু তারা মানছে না।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবদীন জানায়, পারিবারিক বনায়নের গাছ চুরির খবর শুনেছি। ঐ সম্পত্তি ৮০/৮২ বছর যাবত মৃত কেফায়েত উল্লাহর বলে জানি। মাঝখানে পৌনে ১০ শতক সম্পদ নিয়ে আরেকটি প্রতিপক্ষ দাড়ায়। এতে বেশ কয়বার গ্রাম্য শালিশ হয়েছে। জমির মালিকানা শনাক্তের আইনগত সহায়তা নিতে আমি দুপক্ষকেই বলেছি।