বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শরীয়তপুরে শিশুকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ: নার্স শোকজ

নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুর

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

শরীয়তপুর ১০০শয্যা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি কৃত শিশু বাচ্চাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেন কর্তব্যরত নার্স মাহমুদা আফরোজ। শরীয়তপুর সদর পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বালুচড়া গ্রামের মিজানুর রহমান পাহাড় এর কন্যা শিশু আফিয়া সিদ্দিকা বয়স ১৮মাস পাতলা পায়খানা জনিত কারণে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। গত ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২১রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিশু বাচ্চা আফিয়া সিদ্দিকা কে তার বাবা মিজানুর রহমান পাহাড় সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। ওই সময় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স ছিলেন মাহমুদা আফরোজ। বারবার পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে লবণ পানি শূন্যতা পূরণে শিশু বাচ্চাটি কে ৫০০এমএল ডেক্সট্রোজ স্যালাইন দেয় নার্স  মাহমুদা আফরোজ। শিশু বাচ্চা আফিয়া সিদ্দিকার শরিরে স্যালাইনের অর্ধেকাংশ যাওয়ার পর বাচ্চার বাবা মিজানুর রহমান পাহাড় দেখতে পায় ব্যবহৃত স্যালাইন দুই মাস পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। বাচ্চাটির বাবা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেখার পর থেকেই দুশ্চিন্তা পড়ে গেছে। শিশু বাচ্চা আফিয়া সিদ্দিকার সুস্থতা নিয়ে বাবা এখন অনিশ্চয়তার ভিতরে আছে। আফিয়া সিদ্দিকার বাবা মিজানুর রহমান পাহাড় গণমাধ্যমকে বলেন আমার মেয়ের  বয়স ১৮ মাস পাতলা পায়খানার কারণে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স মাহমুদা আফরোজ আমার মেয়েকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেখার পর থেকে আমি এখন মেয়ের সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। নার্স মাহমুদা আফরোজ এর দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার মেয়ের  যদি কিছু হয়, তাহলে তাকে ছেড়ে দেবো না। আমি এই নার্সের বিচার দাবি জানাচ্ছি।

মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারকারী নার্স মাহমুদা আফরোজ এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন আমার বিষয়টি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনির আহমেদ খান সব জানেন, আমি তার কাছে সব বলেছি। আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবোনা বক্তব্য দিলে মুনির স্যার দিবে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কর্তব্য পরায়ন তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনির আহমেদ খান গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেন শিশু বাচ্চাটির বাবা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। নার্স মাহমুদ আফরোজ মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে শোকজ করব।