মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট ছুঁয়েছে ৯০০ কোটি

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

বাংলাদেশে ক্রিকেট ভীষণ জনপ্রিয় খেলা। সময়ের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যেমন উন্নতি হচ্ছে, তেমনি 'উন্নতি' হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক অবস্থার। করোনায় বেশিরভাগ ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক সমস্যায় পড়লেও বিসিবিকে সেই ঝক্কি পোহাতে হয়নি। অন্য বোর্ডের মতো কর্মীও ছাঁটাই করতে হয়নি। খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা।

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বোর্ডের ফিক্সড ডিপোজিট এখন ৯০০ কোটি টাকার। তিনি বলেন, 'বিসিবির অনেক টাকা বেড়েছে। যা বিসিবির আয় থেকেই এসেছে। আমাদের সব স্পনসর স্থানীয়, দেশের বাইরের না। আমরা টাকা অনেক কম পাই। তবু এই দুই মেয়াদে আমাদের এফডিআরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো আছে। বিদেশি বড় বড় স্পন্সর বাদ দিয়ে সব দেশি স্পন্সর নিয়ে আমরা ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের বেতন বাড়িয়েছি।'

ক্রিকেট বোর্ডের ক্রমবর্ধমান আয়ের পাশাপাশি ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারটি তুলে ধরে পাপন আরও বলেন, 'প্রতি বছর এসব সমালোচনা অনেক শুনেছি। বিসিবি কত টাকা পেয়েছে আমাকে এটা বলুন। আগে একটা হেড কোচ থাকত। এখন ফিল্ডিং কোচ, বোলিং কোচ, ব্যাটিং কোচ, ট্রেনার- এসব শুধু জাতীয় দলের। তারপর রইল এইচপি, মহিলা দল, এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচও তো বিদেশি। কি পরিমাণ খরচ বিসিবির, বুঝতে হবে।'

আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণও দিনে দিনে বাড়ছে বলে জানান বিসিবি বস, 'আইসিসি থেকে প্রাপ্য অর্থ বাড়বে সামনে। ২০২৩ সাল থেকে আমরা অনেক বেশি পাব। আমাদের এত দিন যে অনুপাতে দিয়ে এসেছে, ওটা ঠিক না। আমি ওদের কাছে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, কিন্তু আট বছরের অর্থচক্রে পড়ে গিয়েছি। ২০২৩ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সমান টাকা পাবে বাংলাদেশ। এত বছর ধরে, আমাদের জিম্বাবুয়ের সমান দিত।