বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

চিকিৎসক সংকটের মধ্য দিয়েই চলছে নীলফামারী স্বাস্থ্য বিভাগ

মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার


নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স সংকটের মধ্য দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। এতে করে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বে-সরকারী ক্লিনিকে ছোটাছুটি করতে হয় তাদের। বেসরকারি ক্লিনিকে বিত্তবানরা অর্থনৈতিক ভাবে কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হলেও অর্থ সংকটে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিু শ্রেণীর সাধারণ মানুষেরা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলার জেনারেল হাসপাতাল ও ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স সহ মোট দুইশত ছাব্বিশ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেখানে রয়েছে শুধু পচানব্বই জন। নার্স দুইশত আটশট্টি জনের পদ থাকলেও বর্তমান রয়েছে দুইশত বায়ান্ন জন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী  জেনারেল হাসপাতালে সাতান্ন জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছে আঠার জন, নার্স একশত পঞ্চাশ জনের মধ্যে রয়েছে বিরানব্বই জন।
সৈয়দপুর উপজেলার ১০০ শয্যা হাসপাতালে ৪১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেখানে রয়েছে ১০ জন চিকিৎসক, নার্স ৯৪জনের মধ্যে রয়েছে ৫৬জন। জলঢাকা উপজেলায় ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ৩৩ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেখানে চিকিৎসক রয়েছে ১৫ জন, নার্স ৩০ জনের মধ্যে রয়েছে ২৭ জন। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ৩৩ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেখানে রয়েছে ১৪ জন চিকিৎসক, নার্স ২৫ জনের মধ্যে রয়েছে ২৩ জন। ডোমার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ৩১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেখানে রয়েছে ২০ জন চিকিৎসক, নার্স ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছে ২৮ জন। ডিমলা উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ৩১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছে ১৮ জন চিকিৎসক, নার্স ৩০ জনের মধ্যে রয়েছে ২৬ জন।
এছাড়া রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সগুলোয় প্যাথলজি, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম সব জায়গায় চালু থাকার কথা থাকলেও কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে টেকনিশিয়ান ও জনবল সংকটের কারনে আজ পর্যন্ত এক্স-রে মেশিনটি চালু হয়নি। ওই উপজেলার রোগিরা এক্স-রে করতে না পারায় সঠিক রোগ নির্ণয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
কিশোরগঞ্জ ও ডিমলা উপজেলায় চিকিৎসকের পদায়ন না থাকায় গাইনি অপারেশন সহ অন্যান্য অপারেশন চালু নেই। ওই দুই উপজেলার অপারেশন প্রয়োজনীয় রোগিদের নিয়ে বিপাকে পরতে হয় স্বজনদের। অপারেশনের জন্য রোগী নিয়ে ছুটোছুটি করতে হয় বিভিন্ন বে-সরকারী ক্লিনিকে।
হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় অনেকে জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটে যান বেসরকারী ক্লিনিকে। জেলায় বে-সরকারী ক্লিনিক রয়েছে ৩৮টি, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার রয়েছে ৬৮টি, মেডিকেল চেকাপ সেন্টার রয়েছে ১টি।
জানতে চাইলে  সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স গুলোতে। চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চিকিৎসক সংকট থাকলেও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ টা দিয়ে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।