শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুমিল্লার মহামানব আ’লীগ নেতা সুরুজের ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী

লাকসাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২১ শনিবার

কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসামের মহামানব আ’লীগ নেতা আলহাজ¦ খোরশেদ আলম সুরুজ ভাইয়ের ২৭তম মৃত্যু বাষির্কী ঘিরে পারিবারিক ও রাজনৈতিক ভাবে নানাহ আয়োজন চলছে। ‘‘কত লাকসাম কত বাতি’’খ্যাত এ অঞ্চল শিল্প-সাহিত্যাঙ্গণ, রাজনৈতিক তথা অর্থনৈতিক এবং আধুনিক সভ্যতার নবতর জীবনের আবিষ্কারক সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আশ্রয়স্থল কিংবা ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে অকোতভয় ন্যায়ের সৈনিক গন মানুষের প্রয়াত নেতা এ অঞ্চলের সিংহ পুরুষ মহামানব আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুরুজ আজ বেশ কয়বছর ধরে আমাদের মাঝে নেই। শুধু রেখে গেছেন তার কর্মজীবনের দুঃসাহসিক নীতি-দর্শন। 
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এলাকার অনেক বয়ঃবৃদ্ধ কিংবা আবহমান কালের অতীত কর্মকান্ডের ফসল হিসাবে প্রয়াত সুরুজ ভাই ছিলেন গণমানুষের সার্বিক কল্যানে এক জ্বলন্ত স্বাক্ষর। ৬ আগষ্ট তাঁর ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী ঘিরে আজও এলাকার মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে মহামানব প্রয়াত সুরুজ ভাইকে। স্বাধীনতার পরে বৃহত্তর লাকসাম তথা কুমিল্লার রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রথম যার নামটি সবার আগে তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নেতা সুরুজ ভাই। ছাত্র জীবন, কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনে সুরুজ ভাই ছিলেন এ অঞ্চলের অপ্রতিদন্দী এবং ন্যায় বিচারক। বৃহত্তর লাকসামে আওয়ামীলীগের অন্যতম ধারন বাহক বলতে তিনি। লোভ-লালসার উর্দ্ধে থেকে সকল কর্মকান্ড তার সততা-নিষ্ঠা তথা দুঃসাহসিক নানামুখী প্রদক্ষেপগুলো বর্তমানে লাকসামের উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজে লাগছে। সূত্রগুলো আরও জানায়, ১৯৭৩ সালে বৃহত্তর লাকসামের রাজধানী খ্যাত নিজ গ্রাম গাজীমুড়ায় সবুজ বিল্পবের অন্যতম উদ্যোক্ততা ছিলেন তিনি। ছিলোনিয়া খাল ও চাইলতাতলি খাল ঘিরে এলাকার ৮/১০ গ্রামের মানুষের কল্যানে ইরি, বোরো ফসলের পর আউশ-আমন চাষের ফাঁকে ফাঁকে রবি শস্য চাষ আজও নিরব স্বাক্ষর বহন করছে। 
স্থানীয় আ’লীগের দলীয় সূত্র জানায়, তিনি এ অঞ্চলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। ১৯৭০/১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে নানাহ আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাকসাম ফ্লাওয়ার মিলের সামনে রাবার গাছ তলায় প্রতিদিন বেশির ভাগ সময় গণ আদালত গঠন করে বহু সামাজিক ঘটনার মিমাংসা করতেন বলে লাকসামের রত্ন সুরুজ ভাই হিসাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। 
সূত্রটি আরও জানায়, প্রয়াত সুরুজ ভাই ১৯৪৩ সালে বর্তমান লাকসাম পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ড গাজীমুড়াস্থ এক সমভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে তৎকালীন এরশাদ সরকার ও বিএনপির জনক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ সুরুজ ভাইকে মন্ত্রী বানানোসহ নানামুখি লোভ-লালসা দেখিয়ে আওয়ামীলীগ থেকে সরাতে পারেনি বলে অভিমত এলাকাবাসীর। অবশেষে হঠাৎ করে ১৯৯৪ সালের ৬ আগষ্ট এ দিনে পরিবার, আপনজনসহ হাজার হাজার ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদনে তাঁর ছোট ভাই কাউছার আলম বাবলু, তাবারক উল্লাহ কায়েস ও তাঁর একমাত্র সন্তান অধ্যাপক মঞ্জুুরুল আলম লিটন এ অঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশা মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।