শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আগুনে অঙ্গার শ্রমিকদের পরিচয় শনাক্তে সময় লাগবে ১ মাস

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১ শনিবার

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জনের পরিচয় জানতে ১ মাস সময় লাগতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী সবুজ এমন তথ্যই জানিয়েছেন। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২৬ টি মরদেহের বিপরীতে ৩৫ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এখনও সব দাবিদার আসেননি। তারা এলে পর্যায়ক্রমে তাদের নমুনা নেয়া হবে। একইসঙ্গে যাদের নমুনা নেয়া হয়েছে সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সব মিলিয়ে আশা করা যায় এক মাস সময়ের মধ্যে পরিচয়গুলো আমরা শনাক্ত করতে পারব।’

নিহতদের পরিচয় রূপগঞ্জ থানা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জানা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিচয় রূপগঞ্জ থানা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জানতে পারবেন স্বজনরা। তারা এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট। ওনাদের মাধ্যমে পরিবারগুলো তথ্য পেতে পারে।’

মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী আরও বলেন, ‘আমরা রেফারেন্স নমুনা সংগ্রহ করছি। মৃত ব্যক্তির দাবিদাররা এসেছেন। তাদের কাছ থেকে রক্ত নিচ্ছি। মরদেহের দাঁত ও হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ধরনের নমুনাগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব।’

এদিকে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার ভেতরে বিভিন্ন রাসায়নিকসহ দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। সূত্রপাতের একদিন পর আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়। রূপগঞ্জের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারী। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবার পাবে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতরা পাবে ১০ হাজার টাকা।