মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তা না হলে জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম ও হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে কিন্তু হল খুলবে না। এর থেকে বড় ভুল হতে পারে? ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে? মাটিতে বসে থাকবে? মানববন্ধনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহই যথেষ্ঠ। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব। হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটোপাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।

 
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সংসদে আজ পরী মণি নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখি? এই ভুলের সংশোধন কীভাবে হবে? এই ভুলের সংশোধন তারা (সরকার) করবে না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকারের সব সিদ্ধান্ত ভুল হবে, এটাই স্বাভাবিক। আজ সবকিছু খোলা। বাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, অফিস খোলা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগে গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা পেত। আমাদের আমলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মাত্র আটজন ঢাকা শহরের ছিলাম। বাকি সবাই গ্রাম থেকে এসেছিল। তারা আমাদের থেকে পরীক্ষায় ভালো করতেন। আজ সেই সুযোগ নেই।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলম এহাসুল মিলন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, শিক্ষক-কর্মচারী- অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম ভুঁইয়া, বি এনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।