সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্রুত প্রস্থান করলেন নুসরাত
তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ২৬ মে ২০২১ বুধবার
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন তার বড়বোন নুসরাত জাহান। তুলে ধরেন নিজের বক্তব্য। তার কথা শেষে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু তার কোনো জবাব দেননি তিনি। অভিযোগ আছে, কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তড়িঘড়ি করে চলে যান নুসরাত। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে সাংবাদিকদের মধ্যে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। আয়োজনে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, মুনিয়ার জীবনযাপন এবং তার মৃত্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে, এমন প্রশ্ন তুলে ধরেছিলেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। প্রশ্ন করা হয়, কলেজ পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী কী করে গুলশানের মতো জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন? লাখ টাকার ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়ার মতো সক্ষমতা কি তার পরিবারের আছে? তার টাকার উৎস কী ছিল? কাদের সঙ্গে সখ্য ছিল? মুনিয়াকে ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে নুসরাত এবং স্বামী কেন আইডি কার্ড দিয়েছিলেন? তারা কি মুনিয়ার কার্যত উচ্ছৃঙ্খল জীবন সম্পর্কে আগে থেকে জানতেন? এই পথ থেকে ফেরানোর কোনো চেষ্টা কি করেছেন?
সাংবাদিকদের অভিযোগ, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরই দেননি নুসরাত।
এসব প্রশ্নের একপর্যায়ে নুসরাত বলেন, তার বোন অবাধ্য ছিল। মুনিয়ার অনেক আচরণ মেনে নেয়ার মতো না হলেও বাধ্য হয়ে মেনে নিতেন। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি নুসরাত।
সংবাদ সম্মেলনে হুইপপুত্র নাজমুল করিম শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কথোপকথন এবং সখ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দেননি নুসরাত।
গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের এক ফ্ল্যাটে মুনিয়ার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পুলিশ। মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পুলিশ জানায়, মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে, তার পরিবার সেখানেই থাকে। তিনি এখানে থেকে পড়াশোনা করতেন। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
মরদেহ উদ্ধারের ওই রাতেই নুসরাত জাহান গুলশান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা করেন। পরে ২ মে এ ঘটনায় মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ নাজমুল হক চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। নুসরাতের মামলাটির তদন্ত চলাকালে ভাইয়ের করা মামলাটির তদন্ত কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় মামলার তদন্ত শুরু হবে।