আবারও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ খালেদা জিয়ার
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২১ রোববার
দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষাতেও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে দেখে এসে এ কথা জানান তিনি। এর আগে রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান ডা. সিদ্দিকী এবং ডা. জাহিদ হোসেন।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়াসহ মোট ১৪ জনের করোনা টেস্ট করানো হয়। এদের মধ্যে বেগম জিয়াসহ চারজন পজিটিভ হয়েছেন। আর পাঁচজনের নেগেটিভ এসেছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়ার আজকের (শনিবার) পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আশা করছি ৪-৫ দিনের মধ্যে নেগেটিভ আসবে। বাসার সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ম্যাডামসহ চারজনের পজেটিভ এসেছে। বাকিদের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আগের চেয়ে ভালো আছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১৭ দিন পার হয়ে ১৮ দিন চলছে।
এর আগে গত বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে তার (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্তের ১৪তম দিন বুধবার শেষ হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে। শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ নেই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক সময়ের মতোই ৯৮-৯৯ সবসময় পাওয়া গেছে। তার খাবারের রুচিও আগের মতো আছে। তার তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। তার কোনো কফ-কাশি নেই। করোনা সংক্রমণের পর স্বাভাবিকভাবে দুর্বলতা দীর্ঘসময় থাকে। তারপরও খালেদা জিয়ার সেই দুর্বলতা আগের থেকে কমছে।
গত ১১ই এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার বাসভবন ফিরোজার আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ আক্রান্ত হয়। তাদের চিকিৎসাও এখানে চলছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের এই বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। এই এক বছরে নিকটাত্মীয় ছাড়া বিএনপি নেতারা কালেভদ্রেই তার দেখা পেয়েছিলেন।