কওমির সনদের স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে: শিক্ষা উপমন্ত্রী
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৪:০৮ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কওমি মাদরাসা বন্ধ রাখতে হবে। যারা খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে আমরা জাতীয়ভাবে সম্মান দিয়ে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছি। তারপরেও যদি ‘ধ্বংসাত্মমূলক’ কার্যক্রম হেফাজত চালিয়ে যায়, ‘অপরাধমূলক’ কাজ করতে থাকে, তাহলে ডিগ্রির যে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, সে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে আমাদের।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, অপরাধমূলক কাজ যদি প্রতিষ্ঠানগুলো করতে থাকে বা এখান থেকে কেউ করে থাকে তাহলে তাদের যে ডিগ্রির স্বীকৃতি, সামাজিক স্বীকৃতি, রাজনৈতিক স্বীকৃতিসহ সবকিছুই আমাদের বিবেচনা করে দেখতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে তারা কোন পর্যায়ে আছে তার বিবেচনা করে দেখব। তাদের সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।
এসময় উপমন্ত্রী আরও বলেন, অপরাধ কেউ করলে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে। রাজনীতি কেউ করতে চাইলে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু রাজনীতি করব না, রাজনৈতিক কর্মী না আমি, আবার রাজনীতির নাম করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনা ঘটাবে, এসব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি, জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর মধ্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে অ্যাকশান চলমান আছে। আপনারা দেখছেন বিভিন্ন জায়গায় অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে যারা অরাজকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজতের আক্রমণের শিকার হয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
এ ছাড়া মামুনুল হককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, কে কত বড় নেতা সেটা দেখার কোনো বিষয় নেই। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে, ভয়ে মামুনুল চট্টগ্রামে আসে নাই। এ ব্যক্তি চরিত্রহীন ব্যক্তি। মিনিটে একজনকে তার স্ত্রী বানায়, আবার কিছুক্ষণ পর আরেকজনকে তার স্ত্রী বলে। এই ধরনের অপকর্মে হেফাজতের নেতাকর্মীরা কিভাবে জড়িত থাকে তা জাতি জানতে চায়।
এতিমখানার ছাত্র-ছাত্রীদের এসব বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান নওফেল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।