সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

কুমিল্লায় মানছে না লকডাউন, জনসচেতনতায় অভিযান

প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

কুমিল্লায় নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঢিলেঢালাভাবেই পার হচ্ছে সরকার-ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের ২ য় দিন। নগরীতে আজ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দোকানের সামনে বা আশেপাশেই চুপচাপ বসে ছিলেন দোকানের মালিক বা কর্মচারীরা। লকডাউনের দোকানপাট সীমিত আকারে খোলা জন্য মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল শহরে কান্দিরপাড় এলাকায় বিভোক্ষ মিছিল করে কুমিল্লা জেলা দোকান মালিক সমিতি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথায় আবার দেখা যায় পরিস্থিতি বুঝে বন্ধ সাটার খুলে বেচাকেনাও করছেন তারা। বিশেষ করে শহরে নিউর্মাকেট, বিশ্বরোডে এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন কাপড় দোকানসহ ফুটপাতের বিক্রেতারা বিকিকিনি করছে। এছাড়া সকাল থেকে শহরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের সুপার নেতৃত্বে টইল ছাড়া সরকার ঘোষিত নির্দেশনা কার্যকরে প্রশাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। 
 
মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া, বিশ্বরোডে বাস স্টেশন থেকে কয়েকটি রুটে বাস ছেড়ে গেছে। তবে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলছে ঠিক আগের মতই। নগরীর নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার, বাদশামিয়া বাজার, চকবাজার বাজার, রাজগন্জ রানীবাজারসহ সবগুলো কাঁচাবাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল অস্বাভাবিক। সেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই চলে। বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে দু-একজন বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়বেন রিকাশা চালক খোরশেদ মিয়া বলেন, ভাইগো লকডাউন কি আমাগো ভাত দিবো। রিকাশা না চালাইলে আমাগো তো কেউ পেটে ভাত দিবো না। তাই বাধ্য হওয়া সকালে বের হয়েছি। রোডে মানুষ আগের তুলনা কমে গেছে।

সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও আদালত পাড়ায় খোলা রয়েছে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তবে কঠোর নিয়ম মানা হচ্ছে সেখানে। আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে বলে জানান আদালতের কর্মচারীরা। জেলার ১৭ টি উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে লকডাউন আরও ঢিলেঢালাভাবে পালন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানা যায়।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে ,জেলা নকডাউন কার্যকর করতে নগরীতে চারজন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেগনের নেতৃত্বে লকডাউন কার্যকর ও মাস্ক পরিধান নিশ্চতকরণে পরিচালিত গতকাল মোবাইল কোর্ট আইনে ৪টি অভিযানে ৩২টি মামলায় মোট ৪৩.৭০০ টাকা অর্থদন্ড জরিমানা করা হয়।

বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জনগণকে সচেতন করতে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আজ আমাদের একাধিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেরা মোবাইলকোট পরিচালনা করবো। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে একাধিক টিম মাঠে আছে। তারা কাজ করছেন।’দোকান খোলা বিষয় তিনি আরো বলেন, বিষয়টি জেন আমরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিয়ে করবো।