সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

বাবা- মোক একনা কাও ঘর দেয় না" কদবানুর কষ্ট

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

কষ্টেভরা মোর জীবন, চাইলে কি তা দূর হয়" ‘বাধের রাস্তায় থাকতে জীবনটায় শেষ হয়ে গেল, তাও মোক একনা কাও ঘর দেয় নাই বাবা’ এমন আকুতি ৭৫ বয়সী শ্রবণ প্রতিবন্ধী কদবানু বেগমের। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মুন্সীর বাজার তিস্তা নদীর কাছা কাছি বাধের রাস্তায় কদবানু বেগমের বাড়ি। রাস্তায় জমিতে থাকে।

দু’পাশে ছোট দুটি ভাঙাচেরা টিনের চালা। সেই ঘরে একাই কোন রকম থাকেন তিনি। নেই স্বামী সন্তান। বাড়িতে একটি মেয়ে ছিলো, সেও অনেক আগে বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ি চলে যায়।

সীমাহীন কষ্টে কাটছে কদবানুর জীবন। শীতে হিম হয়ে যায় কদবানুর জীবন। জমাজমি বলতে কিছুই নেই। বয়সের ভারে ন্যুয়েপড়া কদ বানুর জীবন কাটছে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে। কোনদিন এক বেলা খেতে পারলে অধিকাংশ দিন তার কাটে অর্ধাহারে অনাহারে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, কদবানুর স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গেছে। তার মেয়েটি যতদিন বাড়িতে ছিল ততদিন তো শ্রম দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের কষ্টের জীবন। তাছাড়া সব দিনে তো আর কাজ পায় না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত একটি কম্বলও দেয়নি কেউ। মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি ঘরের আবেদন কদবানু বেগমের।।
কদবানু বেগমের কষ্টের কথা স্বীকার করে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, ’কদবানুর বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। তাকে সহযোগীতা করেছিলাম। এখনতো তেমন কিছু নেই, দেখি সামনে যা আসবে দেওয়া হবে।’

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ‘কদবানুর খোঁজখবর নিয়ে তাকে সহযোগীতা করা হবে।’