রোববার   ০৯ মার্চ ২০২৫   ফাল্গুন ২৫ ১৪৩১   ০৯ রমজান ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৭

সংস্কার কমিশনে আহসানুল করিমের ৮টি প্রস্তাব গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

মোহাম্মদ আহসানুল করিম একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতা। সাবেক এই বিসিএস কর্মকর্তা গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৯৮২ থেকে বাস্তবায়িত প্রধান উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতায় বাস্তাবায়নতব্য বাকী প্রধান উদ্যোগগুলো উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ অন্যান্য কমিশনকে প্রস্তাব আকারে পাঠান। যার মধ্যে ৮টি সুপারিশ অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তার সুপরিশসমূহ বিবেচনা ও গ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্যমতের কমিশন গঠন করায় তিনি প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল কমিশনগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

কমিশন কর্তৃক গ্রহণ করা আহসানুল করিমের প্রস্তাবনাগুলো হলো-'১) কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠণসহ রাষ্ট্র-অবকাঠামোর সুষম-গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠণ করা: ২) জাতীয় আয় বণ্টনের ও জাতীয় আয়ের সামঞ্জসে সুষম জাতীয় বেতন স্কেল চালু করা; ৩) জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনীয় পদ চারবছর মেয়াদী করা; ৪) দুইকক্ষ সংসদ চালু করা; ৫) দ্বিতীয়কক্ষ ভিত্তিক নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করা; ৬) রাষ্ট্রপতি, স্পীকার, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকারগুলোর প্রধানপদে দুইবার বা আট বছরের বেশী না হওয়ার ব্যবস্থা চালু করা; ৭) সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট পৃথকীকরণ এবং বিভাগভিত্তিক হাইকোর্ট চালু করা: ৮) জনসংখ্যা ১৫ কোটির বা বেশী হলে বিভাগগুলো প্রদেশে রূপান্তর করা, এবং ৬ দফার আলোকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা চালু করা; ইত্যাদি।

 

১৯৮৫ সাল থেকে তার নিবন্ধ-বই লেখালেখী, বহুদলের নেতাদের সাথে মতবিনিময়, ই-মেইল, ফেসবুক, ইত্যাদির মাধ্যমে এসব বিষয়ে সচেতন করেছেন। সিরাজ-রব ১৯৮৮-এ, এরশাদ-জাতীয় পার্টি ২০০৯-এ ও আওয়ামী লীগ ২০১৫ সালে ৮-১০টি বিভাগ/প্রদেশ গঠণে এবং বিএনপি ৩১ দফায় দুইকক্ষ সংসদে ঐক্যমত্য হয়। রাষ্ট্র সংস্কারে তার ৪০ বছরের মিশনে তিনি অনেক মূল্যবান নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

 

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইজি অন ডেমোক্রেটিক পলিটিক্যাল ইকোনমি, ২০২২, সুপ্রীম কোর্টে পেশতকৃত প্রতিবেদন, ২০১১, সংবিধান সংশোধনের দিকগুলো, ২০১০, প্রগতিশীল গণতন্ত্র, ১৯৯১ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার রূপরেখা, ১৯৮৫ অন্যতম। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় পর্যায়ের 'জাতীয় ঐক্যমত্যের কমিশণ" গঠণ করার সাথে কাঠামো-প্রতিষ্ঠান-বিধানের-রূপায়ণও জড়িত। যেমন, রিয়াজ কমিশণের বিভাগভিত্তিক হাইকোর্ট বিভাগ জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য যা সুপ্রিমকোর্ট একদা বাতিল করেছে। সুতরাং এ বিষয়ে বিধান প্রনয়ণে প্রজ্ঞাবান রূপকারও অপরিহার্য। তাহলে জাতীয় ঐক্যমত্যে ও সহজ বাস্তবায়ণও সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরো খবর