শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৭ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৪৯

লাইভে কাদের মির্জাকে ভাগ্নে মঞ্জুর হুশিয়ারি

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১  

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে তিন দিনের সব সভা-সমাবেশ স্থগিত করে নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণভাবে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

রোববার রাত সাড়ে ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে এ নির্দেশনা দেন সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু।

মঞ্জু বলেন, প্রশাসনের অনুরোধ ও আওয়ামী লীগের নির্দেশে আগামী তিন দিন ঘরোয়া ও বাহিরের সব কর্মসূচি স্থাগিত ঘোষণা করা হলো।  তবে এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনাও দেন।

মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু বলেন, প্রশাসন একতরফাভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বন্ধ করালেও মেয়র আবদুল কাদের মির্জার তথাকথিত অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ করেনি। এটি দুঃখজনক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায়ও বসুরহাট পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রাসেলের মুক্তিতে মিছিল করা হয়েছে। আর যদি ওই ধরনের কোনো কর্মসূচি হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না বলে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন।

মঞ্জু বলেন, সোমবার কাদের মির্জা মুছাপুর ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নে চা-চক্র করার নামে নেতাকর্মী জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রশাসন যদি সেই অনুষ্ঠান বন্ধ না করে তা হলে সেখানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগও ‘চা-চক্র করবে।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের শান্তির জন্য ফেসবুকের সব লাইভের মানুষের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। স্বায়ত্তশাসিত বসুরহাট পৌরসভা থেকে অস্ত্রধারীদের বের করে দিতে হবে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।

মঞ্জু কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনেক হয়েছে, এবার থামেন। আর বেশি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। আপনি অনেকের চরিত্র নিয়ে কথা বলেন। আপনারও তো স্ত্রী-মেয়ে আছে। তাদের নিয়ে বলা শুরু করলে ইজ্জত ধরে রাখতে পারবেন না বলে তিনি হুশিয়ার করে দেন কাদের মির্জাকে।

এ সময় ভাগ্নে মঞ্জু মামা মির্জা কাদেরের রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্যও কামনা করেন। কাদের মির্জাকে চিকিৎসা নিতে আমেরিকার যাওয়ার কথা বলে তিনি বলেন, আপনাদের টাকা আছে আপনার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। আপনি গেলে এখানে এমন কিছু হয়ে যাবে না। এছাড়া তার বক্তব্যে কোনো বেয়াদবি হলে ক্ষমাও চান তিনি।

তবে মঞ্জু দৃঢ়তার সহিত বলেন, একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই অপরাজনীতির হোতা আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ আর কখনও রাজনীতি করবে না। আর যদি কেউ এ সিদ্ধান্তকে পাল্টিয়ে, জোর করে তার সঙ্গে একত্রিত করতে চান তার বিরুদ্ধেও কঠোর আন্দোলনে যাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আর সে প্রস্তুতি উপজেলা আওয়ামী লীগের রয়েছে।

প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে মঞ্জু বলেন, কাদের মির্জা তো আপনাদের প্যান্ট খুলে ফেলেছে। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সেই প্যান্ট পরানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন একতরফভাবে ওপরের দোহাই দিয়ে আমাদের দমানোর চেষ্টা করা হলে পরিণাম ভালো হবে না বলে তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন।

এই বিভাগের আরো খবর