রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮৪

লবণ চাষে ঋণ মিলবে সহজ শর্তে

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

এখন থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন লবণ চাষিরা। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতায় রেয়াতি সুবিধায় তাদের এমন সহজ শর্তে এ ঋণ দেওয়া হবে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ।


এতে বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলীয় যেসব এলাকা লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত) রেয়াতি সুদের হারে ঋণ দেওয়া হবে। প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে লবণ চাষের জন্য একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা রয়েছে তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিলকৃত দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিতব্য লবণ হাইপোথিকেশনের বিপরীতে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রকারণপত্র নিতে হবে। ১০ টাকা জমা গ্রহণপূর্বক খোলা অ্যাকাউন্টধারী লবণ চাষিদের শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্ট বা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ব্যতীত পৃথক কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।

বিতরণকৃত ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ক্ষণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে তার ওপর রেয়াতি সুদ হার প্রযোজ্য হবে না। সেক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ হতে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।

ব্যাংকসমূহ রেয়াতি সুদে বিতরণকৃত ঋণ আদায় সমন্বয়ের পর হিসাবসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্তির এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ৪ শতাংশ হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন পেশ করবে। দাখিলকৃত দাবিসমূহের ন্যূনতম ১০ শতাংশ ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাইয়ের ভিত্তিতে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব হতে ব্যাংকসমূহকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। কোনো ঋণ হিসাবে ৪ শতাংশ সুদ হারের অতিরিক্ত সুদ আদায় করা হলে সেই ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।

এই বিভাগের আরো খবর